ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

সিতেশ বাবুর সেই পোষা অজগর আবারও ডিম পেড়েছে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৪:০২, ২৪ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিতেশ বাবুর পোষা অজগর আবারও ডিম পেড়েছে। এ নিয়ে এই মাদী অজগরটি পাঁচবারের মতো ডিম দিল। আর ডিম থেকে বের হয়ে আসছে বাচ্চা।

শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, ‘পঞ্চমবার ডিম দেয়া অজগরটি গত বছর যেখানে ২৮টি  ডিম দিয়েছিল, এবার ৩১টি দিয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জুলাই সন্ধা পর্যন্ত ৩০টি ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়ে এসেছে ‘

বন্যাপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, ‘অজগরটি এবার ২৮ মে ৩১টি ডিম দেয়। একমাস ২৪ দিন তা দেয়ার পর গত বুধবার (২২ জুলাই) থেকে অজগরের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে আসতে শুরু করে। গতকাল সন্ধা পর্যন্ত ডিম থেকে ৩০টি বাচ্চা বের হয়। খুব সহসাই বাচ্চাগুলোকে বনে অবমুক্ত করা হবে।’

এর আগে ওই অজগরটি প্রথম ২০০৪ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম দেয়। ডিম পাড়ার ৫৯ দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৬ সালের ১৩ মে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার প্রায় দুইমাস তা দেয়ার পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়। তখন ডিম থেকে বাচ্চা হয়নি। ২০১৯ সালে আবার ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের অপর পরিচালক সঞ্জিত দেব বলেন,  ‘অজগরটি খাঁচার ভেতর ডিম দেয়ার পর দীর্ঘ ৫৪ দিন কিছু না খেয়ে ডিমে তা দিয়ে সফলভাবে বাচ্চা ফুটাতে শুরু করে। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তে দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবু বাগান থেকে এই অজগরটি উদ্ধার করা হয়। সে সময় অজগরটি বেশ আহত ছিল। দীর্ঘদিন তার কাছে রেখে এর সেবা যত্ন করেন। এক সময় তাকে বাহিরে বনে অবমুক্ত করতে চাইলে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকে, পরে এটিকে আবার তার সেবাশ্রমে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি বলেন, ‘এক সময় ওই অজগরের সাথে তার সেবাশ্রমে স্থান পায় আরেকটি পুরুষ অজগর। এরপর দীর্ঘদিন দুটি অজগর একসাথে বসবাস করে। এক সময় মাদী অজগরটি কুন্ডলী পাকিয়ে বসে পড়ে। আর কাছে কঠিন পাহাড়ায় থাকে পুরুষ অজগরটি। পরে সিতেশ বাবু বুজতে পারেন সে ডিম পেড়ে তা দিচ্ছে।’

এর আগে যতগুলো বাচ্চা ফুটেছে তা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এবারের বাচ্চাগুলোকেও একইভাবে অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান সঞ্জিত দেব।

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি