গোপালগঞ্জে পাটের কাঙ্খিত ফলন হয়নি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/119018372_642144683364454_412808111715509269_n-2009120606.jpg)
চলতি বছর গোপালগঞ্জে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও বন্যায় পাটের কাঙ্খিত ফলন পায়নি কৃষকরা। যতটুকু পেয়েছে তার ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন তারা। ফলে পাট চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছেন অনেক কৃষক।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বন্যা থেকে বাঁচাতে অপরিপক্ক পাট কেটে ফলতে হয়েছে কৃষকদের। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টিতে বীজতলা ডুবে যাওয়ায় এবং বন্যার পানি জমে থাকায় পাট গাছ বড় হতে না পারায় আঁশ মোটা ও লম্বা হয়নি। ফলে উৎপাদন কম হয়েছে। মানও ভালো নয়। অন্যান্য বছর বিঘা প্রতি ২০ মন পাট হলেও এবার ফলন হয়েছে ১২ থেকে ১৩ মন। এছাড়া পাট কাটতে খরচও বেড়েছে কৃষকদের।
পাটচাষিরা জানান, ‘গত বছর যে জমিতে বিঘা প্রতি ১৮ মন হয়েছে, সেখানে এবার ১০ মন। বীজ বপণ থেকে শুরু করে পাঠ শুকানো পর্যন্ত ও পারিশ্রমিকে যত খরচ তাতে পাঁচ হাজার টাকা মন হলেও পুষায় না। সেখানে ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে। উন্নত পাট হওয়ার যে পরিবেশ দরকার, তা না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
এমতবস্থায় লোকসানের মুখে জেলার কয়েক হাজার পাট চাষী। বিভিন্ন হাট-বাজারে এক হাজার তিন’শ থেকে এক হাজার চার’শ টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে।
পাট নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করেছে কৃষি বিভাগও। তবে ন্যায্য দাম পেলে কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন