ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গাইবান্ধার আখ চাষি, শ্রমিক ও কর্মচারীরা দিশেহারা 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:০৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকলে মাড়াই বন্ধের সিদ্ধান্তে দিশেহারা মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখ চাষিরা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা। অভিযোগ, মাড়াই মওসুমে সরকারের হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে অন্তত ২০ হাজার আখ চাষির জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

জানাযায়, ১৯৫৪ সালে গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করা হয় রংপুর চিনিকল। এরপর থেকে এই এলাকায় প্রতিবছর ৫/৬ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ করেন চাষিরা। আর তা মাড়াই করা হয় এই চিনিকলে। জেলার একমাত্র ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এই চিনিকলের সাথে মিশে আছে শ্রমিক আর আখ চাষিদের জীবিকা।

চলতি বছরও এখানে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর মাড়াই উদ্ধোধনের কথা ছিল। অথচ ২ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় রংপুর চিনিকল। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখ চাষিরা। বিক্ষোভ-সমাবেশ ছাড়াও হরতাল কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। 

আখ চাষিরা বলছেন, ‘এই ফসল যদি উঠে যায়, তাহলে আমরা কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।’

শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, ‘বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব অভাবে আমাদের দিন কাটছে। অনেকটা না খেয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছি আমরা।’

তারা বলছেন, ‘এই বয়সে আমরা আর কোথায় যাব? আর কি করে খাব? মিল বন্ধ করার চেয়ে বরং আমাদের বিষ খেয়ে মেরে ফেলুক তারা।’

জানতে চাইলে রংপুর- গাইবান্ধার চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল কবীর বলেন, ‘বারবার বলা হয়েছে মিল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বেতন পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে। কর্মচারী সংকট ও পর্যাপ্ত আখের অভাবে জয়পুরহাট চিনিকলে দুই মিলে আখ মাড়াই করা হবে।’

২০ হাজার আখ চাষি ও শ্রমিক-কর্মচারীর পরিবারের রুটি-রুজির কথা বিবেচনায় দ্রুত রংপুর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরুর দাবি সংশ্লিষ্টদের।


এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি