সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অবৈধ শিকারিরা
প্রকাশিত : ১৩:২১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সুন্দরবনের প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম মায়াবী চিত্রা হরিণ। বন বিভাগের ব্যাপক নজরদারিতে কয়েক বছর ধরে এই বনে শিকারিদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বনরক্ষীদের টহল ব্যবস্থা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ায়, আবারও বেপরোয়া চোর-শিকারিরা।
ফাঁদ পেতে ও গুলি করে শিকার করছে বাঘ ও হরিণ। এ অবস্থায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। অপরাধীদের ধরতে বন বিভাগের সাথে জেলা পুলিশের কয়েকটি টিম যোগ দিয়েছে। এতে করে মাঝে মধ্যে এই চক্রের কেউ কেউ আটক হলেও অনেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চলায় অবৈধ শিকার।
বন বিভাগের তথ্য বলছে, গত ১০ মাসে শতাধিক হরিণ ও দুটি বাঘ এবং ১৯টি চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয় ৩৭ শিকারিকে।
এলাকাবাসী জানায়, ‘যারা চামড়া খোলে বা হরিণ ধরে তাদের ধরে একইভাবে চামড়া ছিলে দেয়া উচিত, কারণ তারা দেশের ক্ষতি করছে। বনের হরিণদের ডাকলে কাছে আসে, অনেক ভাল লাগে। যারা এগুলো শিকার করছে তাদের বিচার হওয়া দরকার।’
বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অসাধু চক্র গডফাদারদের সহায়তায় বন্যপ্রাণী নিধনে মেতে উঠেছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, এসব চক্রদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন। অন্যথায় সুন্দরবনে বাঘ-হরিণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। ফলে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়েছে।’
শিকারিদের এই তৎপরতা বন্ধে গনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সুন্দবনের প্রাণী রক্ষা থেকে শুরু করে দস্যুদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। তবে এজন্য গণসচেতনাও দরকার। তবেই এটি প্রতিরোধ সম্ভব।’
এআই/ এসএ/
আরও পড়ুন