ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভারত ভ্রমণে শর্ত শিথিল করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ১৬ আগস্ট ২০২১

Ekushey Television Ltd.

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে করোনা টিকার ডাবল ডোজ গ্রহণকারী ভারত থেকে ফেরার পর আর ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। এছাড়া ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেশ খুশি যাত্রীরা। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সাথে রাখতে হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সনদ এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া যাত্রীদের থাকতে হবে হোটেল কোয়ারেন্টাইনে।

জানা যায়, ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ভারতে যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী। ভারত থেকেও ভ্রমণ, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসে ৫ শতাধিক।

করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার ভারত ভ্রমণে বিধি-নিষেধ জারি করে। এতে বন্ধ হয় ভারত যাত্রা। তবে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সচল রাখা হয় মেডিকেল ভিসা। ভারত ফেরত যাত্রীদের দেশে ফেরা মাত্র ব্যক্তিগত খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু করে।

এতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হাতে খরচের টাকা না থাকায় অনেকে সমস্যায় পড়ে। এছাড়া গুরুতর জটিল রোগে আক্রান্তরা হোটেল আর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে অসহায় হয়ে পড়ে। 

শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রোববার থেকে কার্যকর করেছেন তারা। ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন ছাড়পত্র লাগবে না। শুধু ভিসা, দুই ডোজ টিকা আর করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলে তারা যেতে পারবেন। ভারত থেকে ফিরে আসার সময় যাদের করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়া আছে তারা বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তবে ফেরার আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি লাগবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, রোববার ভারত থেকে ফিরেছেন মেডিকেল ভিসার ৯০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন পাঠানো হয়েছে ১১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৭৯ জনকে। ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত আপাতত বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বন্দরে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি