ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গণপিটুনিতে প্রাণ হারালো মাদকাসক্ত যুবক

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

তিনদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে চুরি করতে গিয়ে ধরে পরে গণপিটুনিতে প্রাণ হারালো মোঃ মিঠুন (৩০) নামে এক মাদকাসক্ত যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগন ইউনিয়নের পুংগী নিবদার আদিবাসী মহল্লায়। 

এই ঘটনায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার মশিদপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।

গ্রামবাসীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র তিন দিন আগে মিঠুন একটি চুরি মামলায় জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর গত সোমবার গভীর রাতে তারা কয়েকজন মিলে পুংগী নিবদার আদিবাসী মহল্লায় চুরি করতে যায়। ওই গ্রামের দিপেনের বাড়িতে প্রাচীর টপকে মিঠুন ও তার সঙ্গীরা বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করলে অন্যরা পালিয়ে যায়। 

রাতেই বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী মিঠুনকে গণপিটুনী দিলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরের দিন সকালে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ওই গ্রামের বিশ্বজিৎ দাস জানান, মিঠুন ও তার সঙ্গীরা এলাকার গরু, মুরগী, মোটরসাইকেল, মোবাইল সেট, ঘরের আসবাবপত্র চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী।

চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি বলেন, মিঠুন খুব ভাল একটা ছেলে ছিল। সে বেশ কিছুদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এসময় সে মাদক বিক্রির সাথেও জড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকায় মিঠুন চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মাত্র তিন দিন আগে সে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসে। ওইদিন রাতে চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পরার পর তাকে গণপিটুনী দিলে সে মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, চুরি, ছিনতাই ও মাদকসহ ৩/৪টি মামলার আসামী মিঠুন। গত রোববার সে একটি মামলায় জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। মিঠুন একজন চিহিৃত মাদকাসক্ত ও এলাকার চুরি-ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত।

এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান হুমায়ুন কবির।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি