ঢাকা, শুক্রবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

৬ বছরের জেমীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় 

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০২১

নাটোরে লালপুরে ৬ বছরের শিশু নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস হাসান ইমন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) শিশু জেমীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ইলিয়াস হাসান ইমন ও তার পিতা সহযোগী আসামী ফাইজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহন শেষে রোববার (২৪ অক্টোবর) আদালতে প্রেরণ করা হয়। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের ও লাপলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান।

ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৯ অক্টোবর প্রতিবেশী আরশেদ আলীর বাড়িতে পিকনিক করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমী। অনেক সময় পরও মেয়ে বাড়ীতে ফিরে না এলে তার মা তাকে খুঁজতে বের হয়। কিন্তু কোথাও নুসরতকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং এবং আশপাশের রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো ও থানায় জিডি করা হয়।

এরপর ২৩ অক্টোবর সকালে শিশু নুসরাতের বাড়ীর অদুরের একটি ধানের জমি থেকে বস্তাবন্দি ডান হাত বিহীন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকারী ইলিয়াস হাসান ইমনকে এবং মরদেহ গুম করার সহযোগীতা করায় ইমনের বাবা ফাইজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে পুলিশ জানতে পারে নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ইমন। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি