ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে ট্রেনের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৪:৫০, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেন-বাস-অটো রিকশার সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১০ জন। 

নিহত তিন জন হচ্ছেন- ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মো. মনিরুল ইসলাম (৪০), ডালিয়া কনস্ট্রাকশনের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ সোহাগ (৩০) ও পাহাড়তলী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাতরাজ উদ্দীন শাহীন (১৯)।

আহতদের মধ্যে আবুল হোসেন (৬৫) ও জমির হোসেন (৪৮) নামে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ঝাউতলা ক্রসিংয়ের গেটম্যান আলমগীর পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শাহিনুজ্জামান বলেন, “ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের দিকে আসা সিএনজি চালিত অটো রিকশা ও বাসকে ধাক্কা দেয় একটি ডেমু ট্রেন। এ সময় রেল লাইনের গেট খোলা ছিল। ফলে সিএনজি অটো রিকশা ও বাস রেল লাইনে চলে আসে। এ সময় দ্রুতগতির একটি রেল গাড়ি গুলোকে ধাক্কা দেয়। আর ট্রাফিক পুলিশ মনিরুল রেল লাইন থেকে গাড়ি গুলোকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। রেল গাড়ির ধাক্কায় সিএনজি আটো রিকশাটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়।”

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, “নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনির নগর ট্রাফিক উত্তর জোনে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার খোয়াজপুর এলাকায়। এ ছাড়া নিহত বাহাউদ্দিন নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা এবং তার বাবার নাম সৈয়দ সোহরাব হোসেন। অপরজন পাহাড়তলী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাতরাজ উদ্দীন শাহীন।”

তিনি বলেন, “আহত পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে তিনজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের একজনকে ২৪ নম্বর এবং আরেকজনকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মরদেহ গুলো মর্গে রয়েছে।” একই ঘটনায় আহত অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তিনি জানান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝাউতলা এলাকার দোকানদার আরিফ উদ্দিন বলেন, “ঘটনার সময় খুলশীর দিক থেকে আসার রেল গেটটি ফেলা হয়নি।”

এক সঙ্গে তিনটি বাস রেললাইনের ওপরে চলে আসে। পরে ষোল শহরের দিক থেকে আসা একটি ডেমু ট্রেন বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি টেম্পুকে ধাক্কা দেয়। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় সময়ই ট্রেনের গেটম্যান ঘটনাস্থলে থাকে না বলে জানান এই প্রত্যক্ষদর্শী।

রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী বলেন, “রেল গেট ফেলা ছিল না বলে আমরা শুনেছি। দুর্ঘটনার কারণ ও গেটম্যান না থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।” তারা তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কারও অপরাধ পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র : বাসস
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি