ঢাকা, মঙ্গলবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সৈকতে চালু হলো নারী পর্যটকদের ‘বিশেষ জোন’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে নারী পর্যটক ধর্ষিত হওয়ার পর সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে চালু করা হয়েছে ‘বিশেষ এলাকা’।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সংরক্ষিত এ ‘বিশেষ এলাকা’টি উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ।

উক্ত ‘বিশেষ এলাকা’টিতে নারী পর্যটকদের জন্য রয়েছে আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা নারী পর্যটকদের যাদের ইচ্ছা ওই ‘বিশেষ এলাকা’য় প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য ১০০ থেকে ১৫০ গজ এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

উদ্বোধন শেষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানান, ‘কক্সবাজার পর্যটন এলাকা নারী-বান্ধব করার জন্য সৈকতে নারীদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ ঘোষণা করা হল। এতে নারী পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সৈকত ভ্রমণ করতে পারবেন। 

সৈকতে নারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নারী কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যেও নারী পুলিশ রয়েছেন।

মো: মামুনুর রশীদ আরও জানান, ‘হোটেল বা গেস্ট হাউজে যেন পর্যটকরা নিরাপদে থাকতে পারেন, এ ব্যাপারেও তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হোটেল কর্মীদের এসব ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও সচেতন হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সৈকতে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নারী ও শিশুরা। এবার সেই ঝুঁকি কমবে। পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই আমরা কাজ করছি। জনবল কম হলেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাব।’

ট্যুর অপারেটর অ্যাসেসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তা যেমন প্রয়োজন তেমনি আলাদা জোনেরও দরকার আছে। কারণ অনেকেই একটু আলাদা করে সমুদ্রস্নান করতে চান, তাদের জন্য এই জোন। নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিরাপত্তা দুটিই এখানে বাস্তবায়ন করা হতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ চক্রের ধর্ষণের শিকার হন নারী পর্যটক। এ ঘটনার পর থেকে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর হয়ে উঠেন সংশ্লিষ্টরা। ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় রয়েছে-
১. সকল আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও জমা দিতে হবে। 

২. আবাসিক হোটেলগুলোয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।

৩. প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা, রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে।

৪. প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে অথবা জোরদার করতে হবে।

৫. শহর এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের কক্ষ ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৬. হোটেল-মোটেল বা গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত হতে হবে।

৭. সকল হোটেল-রেস্তোরাঁর নিবন্ধন করতে হবে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি