ঢাকা, সোমবার   ১৩ মে ২০২৪

রায় ঘোষণার আগেই ‘নির্দোষ দাবি’ স্বজনদের

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ৩১ জানুয়ারি ২০২২

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে আসামিদের নির্দোষ দাবি করছেন তাদের স্বজনরা। সকালেই আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন স্বজনদের অনেকেই। এসময় তারা সাংবাদিকদের দেখলেই ‘আসামি নির্দোষ’ বলে দাবি করছেন।

সিনহা হত্যা মামলার রায়ের বিচারিক কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে দোষ দিয়েছেন মামলার আসামি কনস্টেবল রুবেল শর্মার ভাই। তিনি বলেছেন, সিনহা হত্যা মামলাকে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা সব আসামিকে ঢালাওভাবে দোষী বানিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন। কিন্তু সব আসামি তো দোষী নয়। মূলত ওসি প্রদীপের কারণে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে।

মামলার আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুনের বাবা আবুল হোসেন বলেন, তার ছেলে কোনোভাবে সিনহা হত্যায় জড়িত নয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য হিসেবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। 

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। 

মোট ৬৫ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১২ জানুয়ারি উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি