ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কামারখন্দে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায় দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবী, নিয়োগের সকল নিয়ম মেনেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছে তারা।

এবার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক, নৈশ প্রহরী আর আয়া পদে ডাকা হয়েছে প্রার্থীদের।

নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করা আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে জানান, তিনি নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করে বিদ্যালয়ের সভাপতি জয়নাল আবেদিন ও নিয়োগ কমিটির আহবায়ক সানোয়ার খন্দকার সানুর কাছে দেড় লক্ষ টাকা অগ্রীম প্রদান করেছেন। পরে অন্য একজনের সাথে আরো বেশি টাকা নিয়ে তার আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। তবে অগ্রীম নেয়া টাকা এখনো ফেরত দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে লিখন নামে আরো বেশি টাকায় নিয়োগের প্রক্রিয়া করছে বলেও জানান আব্দুল্লাহ। তবে লিখনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চাকরি নেবার জন্য তারা কোন টাকা পয়সা লেনদেন করেননি। আব্দুল্লাহ আরো জানান, এবারের প্রতিটি নিয়োগেই টাকার লেনদেন হয়েছে।

মাস্টাররোলে আয়া পদে কর্মরত শাহিদা বেগম জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর এই প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেছেন। নিয়োগ হলে তিনিই প্রাধান্য পাবেন বরাবরই এমন কথা বলে এসেছে প্রধান শিক্ষক। কিন্তু নিয়োগের সময় মানেজিং কমিটির একজনের আত্মীয়কে নিয়োগ দেবার জন্য তার বিষয়টি আর কোন বিবেচনায় আনা হয়নি। উপরন্ত তার মাস্টাররোল বাতিল করে তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের একটি অডিও ক্লিপে শোনা যায়, একজন প্রার্থী নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন স্বীকার করেছেন, তিনি সহ তার সঙ্গীয়রা নিয়োগ দেবার কথা বলে একজন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তবে অজ্ঞাত কারণে তাকে আবার বাতিলও করা হয়েছে। টাকা ফেরত দেবার বিষয়টি স্বীকার করলেও, কবে ফেরত দেবেন সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত তারিখ বলেননি। অডিও ক্লিপে তিনি আরো বলেন, পুরো বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি জানেন। তার সাথে কথা বললেই এর সমাধান পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে সভাপতি জয়নাল আবেদিনের ছেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হানিফ জানান, প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু টাকা খরচ হয়। বিভিন্ন দপ্তর থেকে নিয়োগ দেবার জন্য প্রতিনিধি আসেন। তাদের আসা-যাওয়া, খাওয়া সহ কিছু সম্মানি তো দিতেই হয়। সে টাকা তো বিদ্যালয় ফান্ড থেকে দেয়া সামর্থ্য থাকেনা। তাই প্রার্থীদের কাছ থেকেই অল্প কিছু খরচের টাকা নেয়া হয়।

আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন জানান, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। যারা লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করবে, তাদেরই নিয়োগ দেয়া হবে। আর নিয়োগ সংক্রান্ত টাকা পয়সার কোন লেনদেন হয়েছে কিনা, তা তিনি জানেন না।

স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা অফিস ম্যানেজ করে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য এমন প্রশ্নে কামারখন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকমান হোসেন জানান, রায় দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা কারো সাথে টাকা পয়সার লেনদেন করেছেন কিনা, তা জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আর অফিস ম্যানেজ করার কোন সুযোগ নেই।  স্বচ্ছভাবেই নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি