ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রহিমা নাটকের অবসান, স্বেচ্ছায় ছিলেন আত্মগোপনে (ভিডিও)

খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:২৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

অবশেষ অপহরণ ও লাশ উদ্ধার নাটকের অবসান। খুলনার আলোচিত নিখোঁজ রহিমা বেগমকে ২৮ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা। পুলিশ বলছে, অপহরণ মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার রাত ২টা ১০ মিনিটে খুলনার দৌলতপুর থানার সামনে থামে ২টি মাইক্রোবাস। গাড়ী থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নামতে দেখা যায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উপ-কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক সময় খুলনায় রহিমা বেগমের বাসায় ভাড়া থাকতেন কুদ্দুস।

এ ঘটনায় কুদ্দুসের ছেলে, তার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে রহিমা বেগমকে আপাতত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হবে বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার। 

কেএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “মামলাটি যেহেতু পিবিআইতে হস্তান্তর হয়েছে তারা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।”

গেলো বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ফুলপুরে মায়ের লাশ পাওয়া গেছে বলে ফেইসবুক পোস্ট দেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। এরপর রহিমার চার মেয়ে ১৩ দিন আগে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি একটি লাশ রহিমা বেগমের বলে নিশ্চিত করে।

রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান

রহিমার মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেছিলেন, “মায়ের চোখ, কপাল, হাত, মায়ের শরীর চিনতে কোনো প্রমাণ লাগে না।”

এদিকে, মাকে উদ্ধারের পর ছেলে মিরাজ বলছেন, তার পরিবারের কেউ যদি নাটকীয় কিছু করে থাকেন তারও বিচার হোক। 

রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাবিদ বলেন, “আমাদের মধ্য থেকে যদি মায়ের আত্মগোপনের সাথে আমি স্বয়ং জড়িত ছিলাম বা অন্য কেউ জড়িত ছিল এ রকম যদি প্রমাণিত হয় অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।”

অপরদিকে অপহরণ মামলায় আটক ৬ আসামির স্বজনরা বলছেন, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মরিয়ম মান্নানসহ জড়িতদের বিচারও দাবি করেন তারা। 

মামলায় আসামিদের স্বজনরা বলেন, “এতোদিন যে আমার বাবা জেল খাটলেন তার কারণ কী? আজকে তো প্রমাণ হয়ে গেল যে আমার বাবা কিছুই করেননি। যারা মানহানী করেছেন তাদের বিচার চাই। যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তার প্রত্যাহার চাই।”

গত ২৭ আগস্ট খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি