ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নানা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় উচ্ছ্বসিত যশোরবাসী

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৮, ২২ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫২, ২২ নভেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যশোর জুড়ে যেন উৎসবের রঙ লেগেছে। বিভিন্ন সড়কে রং-বেরংয়ের সুবিশাল তোরণ, ব্যানার সর্বত্রই উৎসবের আমেজ। ৫ বছর পর আগামী ২৪ নভেম্বর যশোর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই যশোরবাসীর হৃদয় জুড়ে নানা প্রাপ্তির প্রত্যাশা। 

সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ মুহূর্তের এ জনসভাকে ঘিরে  প্রস্তুতির যেন কোনো শেষ নেই। প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে হচ্ছে মিছিল আর প্রস্তুতি সভা। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন সেই সব মিছিল-সভায়। 

‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘নেত্রী আছে রে- আছে, কোনো সেই নেত্রী- শেখ হাসিনা’ ইত্যাদি কোরাস, স্লোগান আর নিনাদ প্রতিধ্বণিত করছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার অলিগলি।

আগামী ২৪ নভেম্বর যশোর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন কোন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দাবির সমর্থনে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। 

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ধীরাজ ভট্টাচার্য্য, মনোজ বসু, মানকুমারী বসু, দিলারা হাশেম, কবি আজিজুল হক, রফিকুজ্জামানসহ কবি-সাহিত্যিকদের লালন ভূমিখ্যাত এই যশোর। সেই যশোরের মানুষের প্রত্যাশা সাগরদাঁড়িতে একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

যশোরের মানুষ সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মরকলিপি দিয়ে প্রাপ্তির প্রহর গুণছেন। এছাড়া দীর্ঘ আড়াই যুগ ধরে জেলাবাসীর দাবি যশোরকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক।

এবার প্রধানমন্ত্রী কাছে যশোরবাসীর প্রত্যাশা তিনি যশোরকে বিভাগ ঘোষণা করবেন। যশোরে মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে কিন্তু নেই কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যশোরবাসীর দাবি মেডিক্যাল কলেজের সাথে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরির নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

সোমবার জনউদ্যোগ যশোরের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। 

জনউদ্যোগ যশোরের দাবির মধ্যে রয়েছে, যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীতকরণ। অতিদ্রুত এই অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি সব মহলের। 

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র যশোর সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়ার প্রবেশদ্বার দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। দেশের সর্ববহৎ এই স্থলবন্দরকে একটি স্বতন্ত্র স্থলবন্দর ঘোষণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সমস্যা লাঘবের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সকলের প্রত্যাশা। 

একই সঙ্গে নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উন্নয়নের বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টির মধ্যে থাকবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জনসভাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এই জনসভা থেকেই দেশনেত্রী আগামী দিনের দিক-নির্দেশনা দেবেন বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, গত তিন দশকে বিশ্ব যেসব মহাসংকটের সম্মুখীন হয়েছিল, তাতে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অর্জন আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। 

তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। পরিবেশ উন্নয়নসহ জলবায়ু সমস্যা নিরসনে বিশ্বব্যাপী উচ্চকিত সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর ও ভূমিকা আজ সর্বত্র প্রশংসিত। একইভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ক্রাইসেস থেকেও দেশের মানুষকে রক্ষায় তিনি কার্যকরী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। 

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যশোর জনসমূদ্রে রূপ নেবে বলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন। তারা জানান, জনসভায় ১০ লাখ মানুষের মানুষের ঢেউ নামবে এবং স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্র হবে যশোরে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি