ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘সুনীল পর্যটন শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ৭৫ দ্বীপ’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:০৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

দেশের ৭১৫ কিলোমিটার লম্বা উপকূলের ছোট-বড় ৭৫টি দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সুনীল পর্যটন শিল্প উন্নয়নে। এজন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনার।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য উপস্থাপন করেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৭১৫ কিলোমিটার লম্বা উপকূল ও সমুদ্রে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ৭৫টি দ্বীপ রয়েছে। গভীর সমুদ্রের জলজ প্রাণবৈচিত্র্য, প্রবাল বসতি, বালুময় সমুদ্রসৈকত, বালিয়াড়ি, নানা ধরনের দ্বীপ এবং সমুদ্র ভ্রমণ পর্যটনের উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

তারা আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘ উপকূল, বিশালাকৃতির নদীসমূহ এবং নদীর মোহনা, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নানা প্রজাতির মাছ ও পাখি, সমুদ্র তীরবর্তী ও দূরবর্তী অনেক দ্বীপ, উপকূলীয় মানুষের জীবনধারা, হাজার বছরের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী রকেট স্টীমার সার্ভিস, নানা ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী, সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও সমুদ্র ভ্রমণ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। 

বঙ্গোপসাগরে এক লাখ আঠারো হাজার আটশত তেরো বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূলীয় সমুদ্রসীমা ও বিস্তৃত জলরাশি পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করেছে। অধিকাংশ পর্যটকের প্রধান আকর্ষণ প্রমোদতরীতে সমুদ্রভ্রমণ, সমুদ্র ও উপকূলভিত্তিক পর্যটন ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম।

বক্তারা আরও বলা হয়, সুনীল পর্যটন হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা এবং উদ্ভাবন প্রকল্প যা সমুদ্রের আশেপাশে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পর্যটনের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শাসন এবং পরিকল্পনার উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে। 

সুনীল পর্যটন উন্নয়নে ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড ও পর্যটকের সংস্থার করণীয়সমূহ হল জলজপ্রাণী দেখার জন্য সুরক্ষিত এলাকায় অনুপ্রবেশ পরিহার, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রজনন স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, নৌকায় সহনীয় মাত্রার শব্দবিশিষ্ট প্রোপেলার ব্যবহার, কচ্ছপ-তিমি-হাঙ্গর-ডলফিন এবং বিপন্ন প্রজাতির মাছের মতো সামুদ্রিক প্রাণীদের স্পর্শ করা থেকে বিরত রাখা। 

এ বিষয়ে সচেতন ও সংবেদনশীল করার জন্য পর্যটন পরিবহন কর্মী, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন। 

এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনা করেন ইউএনডিপি'র এক্সেলারেটর ল্যাব বাংলাদেশের হেড অব এক্সপেরিমেশন রমিজ উদ্দিন। 

কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ককক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান, কর্ণফুলী সীপ বিল্ডার্সের কনসালটেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল হালিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম, এ রশীদ সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি