ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আশায় দিন কাটে দুবলা চরের জেলেদের (ভিডিও)

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত সুন্দরবনের দুবলার চরের ২৫ হাজার জেলে। চিকিৎসা সেবাতো বটেই, নেই সুপেয় পানির সংস্থান। মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সংগ্রহ করা পানি খেতে হয় ছয় মাস। এখানকার শুটকি থেকে বিপুল রাজস্ব আসলেও জেলেদের উন্নয়নে কোনো উদ্যোগই নেই।

সুন্দরবনের দক্ষিণে দুবলার চর বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ। মাছ ধরার সঙ্গে এখানে চলে শুটকি শুকানোর কাজ। অক্টোবর থেকে মার্চ, এ কাজে ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় ২৫ হাজার জেলে। এখান থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। অথচ এখানে নেই নাগরিক সুবিধা। 

খুলনার পাইকগাছার মুজিবর রহমান ৪৭ বছর ধরে সাগরে মাছধরা ও শুটকি প্রক্রিয়াজাতের কাজ করছেন। প্রতিবছরই তাকে ভুগতে হয় পানির কষ্টে। 

মাটির গর্ত খুড়ে পানি সংগ্রহ করে পান করেন চরের জেলেরা। নিরাপদ পানি না থাকায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবাও জোটে না।

জেলেরা জানান, মাটি খুঁড়ে পানি উঠাতে হয়, সেই পানিও লবণ।  এ পর্যন্ত সরকার পানি ব্যবস্থা করেনি। এখানে একটি হাসপাতালের জরুরি দরকার। অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যেতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লাগে, অনেক সময় রোগী পথেই মারা যায়।

জেলেদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  

শুটকি ব্যবসায়ী মো. লোকমান হোসেন বলেন, “এসব দিকে যদি আমাদের সরকার একটু দৃষ্টি দেয় তাহলে এখান থেকে যে রাজস্ব আসে তার দ্বিগুণ রাজস্ব পাবে।”

দুবলার চরের জেলেদের জন্য সুপেয় পানি-ভাসমান হাসপাতালের আশ্বাস বনবিভাগের।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “জেলেদের জন্য যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। ভাসমান হাসপাতালের ব্যাপারে অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি। আপাতত তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

শিগগিরই অবস্থা বদলাবে, মিলবে সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসেবা- এই আশায় দিন কাটে দুবলার চরের জেলেদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি