ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের দাবি ১০ সংগঠনের

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১৪, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারসহ ১০টি সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবনি পয়েন্টে এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু হতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে। কিন্তু মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন অব্যাহত আছে। যদি নব্যতার সংকট থাকতো তাহলে মায়েনমারের জাহাজ মালামাল নিয়ে কিভাবে আসে। 

বর্তমানে ২টি জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে অবস্থান করছে। যা গত ৩-৪ দিন পূর্বে সেন্টমার্টিন হতে এই রুটেই ভাটার মধ্যেই দমদমিয়া জেটিতে এসেছে। নব্যতার সংকট থাকলে তা হতো না। 

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল না করার ফলে ট্যুর অপারেটরদের পাশাপাশি ট্যুর গাইড, হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ, রেস্টহাউজ, ফ্ল্যাট ও কটেজ ব্যবসায়ী- কর্মচারী, বাস-মিনিবাস ব্যবসায়ী-কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট ও ফুড প্রসেসিং ব্যবসায়ী-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভ্যান- রিক্সা-টমটম চালক এবং বিভিন্ন প্রকারের কুটির শিল্প ব্যবসায়ীসহ কক্সবাজার তথা সেন্টমার্টিণ ভ্রমণ সেবা প্রদান করা ৫ লাখ মানুষের জীবিকা এখন হুমকীর সম্মুখিন। 

জীবিকা ঠিক রাখার স্বার্থে এই নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল চালু করার দাবি জানান তারা।

ট্যুর অপারেটসের দাবি, নাব্যতার সংকটের অযুহাত দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিবছর কক্সবাজারে ভ্রমণ করে তার অধিকাংশ পর্যটকই সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ড হতে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। সমুদ্র পথে যাতায়াত করা সহজসাধ্য নয় বিধায় প্রতিবছর নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকার সময়ে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার সভাপতি আনোয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলীত মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এসএম আবু নোমান সহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর ধরে সেন্টমার্টিন নিয়ে নানা প্রকারের অপপ্রচার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর সুবিধাভোগী চক্র পরিবেশের কথা বলে পর্যটন শিল্পে বাঁধা সৃষ্টি করছে। অথচ, ২০১৯ সালে নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৫শ’ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেন। অর্থাৎ ১৫১ দিন পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১,০৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েমন অব কক্সবাজার, সী-ক্রুজ অপারেটন অনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কলাতলী মেরিন প্রাইড হোটেল রিসেটি মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বোট মালিক সমিতি ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, হোটেল-মোটেল গেষ্টহাউজ মালিক সমিতি, কক্সবাজার বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ সেন্টমার্টিন রোস্তোরা মালিক সমিতি, সেন্টমাটিন বাজার মালিক সমিতি যোগ দেয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি