ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

যমুনার গতিপথ পরিবর্তনে চলছে চরখনন (ভিডিও)

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

যমুনার গতিপথ পরিবর্তন করে অব্যাহত ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জের পূর্বশাহজাদপুর রক্ষায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চরখনন। প্রকল্পের আওতায় জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নে ৩ হাজার ২শ’ মিটার দীর্ঘ ও একশ’ মিটার প্রস্থে ৩ মিটার গভীর করা হচ্ছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সুফল পেতে মাঝখানের সম্পূর্ণ চর অপসারণের দাবি স্থানীয়দের। 

কৈজুরী ইউনিয়নের মোনাকষা, পাঁচিল থেকে উত্তরে জালালপুরের ভেকা, পাকড়তলা, খুকনীর আড়কান্দি, ব্রাহ্মণগ্রাম ও চৌহালীর এনায়েতপুর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার যমুনার ভাঙনে বিপর্যস্ত। ৭ বছরে কয়েকটি গ্রাম, ৬ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি এবং কয়েক হাজার একর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে।

যমুনার পূর্বপাড় ও মাঝখানে চর জেগে ওঠায় পানির স্রোত পশ্চিম দিকে বেড়ে ভাঙন তীব্র হয়েছে। তাই জানুয়ারির শুরু থেকে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে হাইড্রলিক কাটার সেকশন ড্রেজার দিয়ে চর কাটা হচ্ছে। এতে পশ্চিমপাড়ের বসতি রক্ষা পাবে বলে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, আমাদেরকে বাঁচানোর জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কাজটা করার জন্য খুবই খুশি হয়েছি। এতে ভাঙন এলাকার মানুষগুলো বেঁচে যাবে। কাজটি দ্রুত করার জন্য দাবি জানান তারা।

তবে মাঝখানের পুরো চর অপসারণসহ ৩২শ’ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ কিলোমিটার খননের দাবি তাদের।

জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বলেন, “১ কিলোমিটার চরের মাত্র ১শ’ মিটার খনন করবে। তাহলে চর চরের মতোনই থেকে যাবে।”

অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে এই ড্রেজিংয়ের ফলে বন্যার পানির প্রবলস্রোতে মাঝেরচর এমনিতেই অপসারণ হয়ে যাবে।

এনডিই অপারেশন ম্যানেজার মো. আলম মিয়া বলেন, “বর্ষা মৌসুমে একটি চ্যানেল বের করে  অন্যপাশের চ্যানেলের সঙ্গে সংযোগ করা হলে মাঝের চর ভেঙ্গে চলে যাবে।”

সিরাজগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা যদি ড্রেজিং করে পানির স্রোতকে পরিবর্তন করে মাঝনদীতে নিয়ে যেতে পারি তাহলে পাড়ের উপর চাপ কমবে।”
 
নদীখনন সম্প্রসারণ করে যমুনার বিপর্যস্ত ডান তীর রক্ষার দাবি ভুক্তভোগীদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি