ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দাবদাহে শুকিয়ে গেছে লাউয়াছড়ার পাহাড়ি ছড়াগুলো (ভিডিও)

বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার থেকে

প্রকাশিত : ১৪:৩২, ২১ এপ্রিল ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে গেছে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাহাড়ি ছড়াগুলো। পানি নেই কৃত্রিম জলাধারেও। চরম পানি সংকটে বনটির প্রাণী ও কীটপতঙ্গ। 

নানা প্রজাতির সরীসৃপ ও বানর, হরিণ, শূকর, মেছোবিড়াল, বাঁশভাল্লুক, উল্লুক, হনুমানসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণীর বাস ১২৫০ হেক্টরের লাউয়াছড়ায়। চলমান তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস তাদের জীবনেও। 

বনটির ভিতরে প্রবাহিত অসংখ্য পাহাড়ি ছড়ার পানি পানে বেঁচে থাকে বন্যপ্রাণীরা। গরমে শুকিয়ে গেছে ছড়াগুলোর ৯০ শতাংশ পানিই। 

শুষ্ক মৌসুমে তৃষ্ণা মিটাতে বনবিভাগের তৈরি চৌবাচ্চাগুলোতেও পানি না পেয়ে দিশেহারা প্রাণীরা।

একাধিক পর্যটক জানান, এখন তো শুষ্ক মৌসুম তাই বন্যপ্রাণীরা সমস্যায় আছে। এখানকার পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে।

বনকর্মী জানান, বনবিভাগ থেকে যেসব জলাধার তৈরি করা হয়েছে এগুলোতে পানি বহন করে নিয়ে দিতে হয়। কোনো কোনো জায়গা আছে যেখানে পানি বহন করে নেওয়াও সম্ভব হয় না।

এই পানি ও পাশের স্যাঁতসেঁতে জায়গায় প্রজনন ঘটায় বেশ কিছু প্রাণী ও পোকা। বাধাগ্রস্ত এটিও।

ড্রিপ ইকোলজি এন্ড স্ন্যাক কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া বলেন, “সামগ্রিকভাবে এখানে বসবাসকারী প্রাণীদের উপর প্রভাব পড়েছে। তাদের প্রজননও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

বৃষ্টিপাত না হলে জীবনঝুঁকিতে পড়বে কীটপ্রতঙ্গসহ প্রাণীরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বনবিভাগ। 

শ্রীমঙ্গল সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, “অনেকদিন যাতে এই পানিগুলো স্থায়ী হয় এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা আমাদের আছে। তবে এই দাবদাহের কারণে বর্তমানে পানি সংকট প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে জীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে।”

দাবদাহ ও পানি সংকটের অবস্থা বুঝে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাও নিচ্ছে বনবিভাগ। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি