ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নির্যাতিত নারী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০০, ২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৫, ২ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই নারী বাবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে তার বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। ওই বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। 

তবে তার বাড়িতে প্রতিদিনের মতো লোকসমাগম ছিল।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভিড় করছেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মী, ইউটিউবার, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে বিব্রত হয়ে তিনি বাড়ি ছেড়েছেন। 

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। নৌকায় করে তিনি সেখানে আসেন। তিনি আসার আগেই তার হাজারো নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমি এসেছিলাম সমবেদনা জানাতে, কিন্তু তাদের কাউকে পেলাম না। পুলিশ ও সরকারের উপদেষ্টা মিলে ষড়যন্ত্র করে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য কী, জানতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ বুঝি না। আমি বুঝি আপনারা সবাই আমার ভাই। আপনারা জানেন, এই ঘটনায় বিএনপির কোনও সংযোগ নেই।’ 

এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনার পর প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভিড় করছেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তার জীবন ‘দুর্বিষহ’ হয়ে উঠেছে। এমন ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ি ছেড়ে গেছেন।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভিড় করছেন। সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে ভুক্তভোগীর পারিবারিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া অনেকে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভিডিওতে ভুক্তভোগীর চেহারা দেখিয়ে আরও সমস্যায় ফেলছেন। এসব কারণেই ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে সরে গেছেন।’

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর বাড়ি যাবেন বলে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। পুলিশের সহযোগিতায় তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। এরপর তার মা–বাবাসহ পরিবারের লোকজনও অন্যত্র চলে যান।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ওই নারী তার শ্বশুরবাড়ি গেছেন। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। অনেক লোকজন প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছিল। তিনি স্বস্তির জন্য চলে গেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী ফজর আলী ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি