ঢাকা, শনিবার   ২১ জুন ২০২৫

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত নেতা নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১০:৪৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নুর মোহাম্মদ (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ী এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার ও টেকনাফ থানার ওসি তদন্তসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

নিহত ডাকাত ওই ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে এবং টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দুইদিন আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে ও চিহ্নিক একাধিক মামলার পলাতক আসামি নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপতারের পর সে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সম্প্রতি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা সঙ্গে সে জড়িত এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে তার আস্তানায় অস্ত্র মজুদ রয়েছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ পাহাড়ের আস্তানায় অভিযানে যান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। কোনও উপায়ন্তর না দেখে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে। এতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১) ও অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হয়। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ ডাকাত নুর মোহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নুর মোহাম্মদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত ডাকাত নুর মোহাম্মদ গত ২২ আগস্ট যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচার, সন্ত্রাসী, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা। তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার মামলার আরও তিনজন আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এরা প্রত্যেকে দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ে অবস্থান নেয়।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি