ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

করোনাকালে বিকল্প নেই গবেষণা ও উন্নয়নের

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ৩০ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ২০:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২১

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গবেষণা হোক। এ জন্য চলতি অর্থবছরে গবেষণার জন্য এক শ’ কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। দেখা যাচ্ছে, ইগো প্রবলেমের কারণে এবং সমাজে নব্য সৃষ্ট মানুষদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য এ টাকার অধিকাংশই ফেরত যাচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য খাতের গবেষণার বিভিন্ন দিক আছে, সেখানে এ বরাদ্দটি অত্যন্ত দরকার ছিল। কিন্তু বরাদ্দ যখন কাজে আসে না, অথবা অর্থবছরের পর তা ফেরত যায় তখন ভাল উদ্দেশ্য মানব কল্যাণটি ব্যাহত হয়। গবেষণা করে অবশ্যই মানুষের জীবন বাঁচানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। 

সম্প্রতি দেখলাম যে, এদেশের ৫০০ জনের ওপর গবেষণা করা হয়েছে- যারা করোনাভাইরাসের টিকা দু’বার গ্রহণ করেছেন তাদের অধিকাংশ ভাল আছেন। শরীরে প্রয়োজনীয় এ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এখন সরকার তাকে বরাদ্দ ফান্ড দিলেনÑ কিন্তু তিনি কোন স্কুপাস ইনডেক্স জার্নালে সেই গবেষণাটি ডকুমেন্টেশন করার জন্য ছাপতে চাইবেন। বায়োমেড সেন্ট্রালের প্রায় ২৫০টি সায়েন্টিফিক জার্নাল রয়েছে। এর মধ্যে একটি জার্নালে আর্টিকল প্রকাশ করতে গেলে লাগে ১৯৫০ মার্কিন ডলার। অবশ্য অন্য অনেক জার্নাল আছে যেখানে ছয় শ’ থেকে এক হাজার ইউরোতে স্কুপাস, এবিডিসি (অইউঈ), ক্যাবলস, রুটগার্স, আইএসআই জার্নালে লেখা প্রকাশ করা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো জার্নালে প্রবন্ধ পাঠানোর জন্য যে সাবস্ক্রিপশন ফি তা ব্যাংক থেকে পাঠাতে গেলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য শুরু হয়। অনেক গবেষক কমপ্লেন করেছেন যে, তারা যখন তাদের প্রবন্ধ বিদেশে গৃহীত হয়, ব্যাংকসমূহ অর্থ প্রেরণে জটিল থেকে জটিলতর ব্যবস্থা নেয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রমশ গ্রাহকবিমুখ হয়ে পড়েছেন। তারা কেউ কেউ এমনকি মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে চান না। একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে, কোন কোন ব্যাংকের এমডি গ্রাহকের ই-মেইল ফিরিয়ে দেয় এ কথা বলে যে, তাদের ই-মেইল পাঠানোর কোন ক্ষমতা নেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে। অথচ প্রতিপত্তিশালী গ্রাহকদের একটি টেলিফোনেই কুপোকাত হোন। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে প্রাইম ব্যাংকের কথা বলা যেতে পারে- যখনই কোন সাধারণ গ্রাহক ই-মেইল করে তার সঙ্গে সঙ্গে নট ডেলিভারিড লিখে ফেরত দেয়া হয়। ইতোপূর্বেও জনকণ্ঠে লিখেছি, কিন্তু লাভ হয়নি। যেই লাউ সেই কদু। করোনাভাইরাসের সময়ে সরকারপ্রধান বার বার জনগণকে সাবধান করেছেন। মাস্ক যেন সর্বদা ব্যবহার করে সে জন্য তিনি বিভিন্নভাবে বলেছেন। সব সময়েই সরকারপ্রধান গবেষণা করতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশে শোষকদের তাড়ানোর জন্য জীবন পর্যন্ত দিলেন এদেশ স্বাধীন করার পরও; দেখা যাচ্ছে মোশতাক-জিয়া, এরশাদ, খালেদা-এরা সুন্দর করে বিদেশী শোষকের পরিবর্তে নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ে দেশী শোষক নিয়ে এসেছে।

এক্ষণে সরকারপ্রধান গবেষণা করা, গবেষণা পদ্ধতি বিশ্ববাসীকে জানানো এবং দেশের জন্য যদি সুফল বয়ে আনে তার জন্য প্রায়োগিক কৌশল ও লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করোনাকালে করতে, অর্থ বরাদ্দ করতে বললেও মধ্যম ও নিম্ন পর্যায়ের জটিলতায় যারা নিজ উদ্যোগে গবেষণা করছেন, তাদের অধিকাংশ সফল হচ্ছেন। আর এলিট শ্রেণীর কিছু গবেষকের পক্ষে হয়ত ফান্ড জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে। বাদবাকিরা বৃত্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আসলে গবেষণা স্বাস্থ্য খাতের পাশাপাশি শিক্ষা খাতেও প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক গবেষকই ফান্ডিংয়ের অভাবে করোনাকালে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গবেষণা করতে পারছেন না। বেতন-ভাতাদি থেকে অনেকে কষ্ট করে গবেষণা করেন, আর ব্যাংকে গেলে অনেকেই বিফল মনোরথে ডকুমেন্টেশনের অভাবে গবেষণা বিভিন্ন উন্নতমানের জার্নালে সাবস্ক্রিপশন ফি পাঠাতে না পেরে ফেরত আসেন। অথচ করোনাকালে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণার প্রয়োজন ছিল। করোনায় বৈশ্বিক পরিম-লে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব এবং তুলনামূলকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রভাব, করোনায় ঘরে আবদ্ধ শিশু-কিশোরদের অবসাদ হয়েছে কি? করোনায় সুচিকিৎসার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, করোনাভাইরাসে জিনোম সিক্যুয়েন্স বার বার পরিবর্তিত হলে বাংলাদেশ কিভাবে অভিযোজন ও অভিজাত ঘটতে পারে, করোনাকালে এসএমই সেক্টরে কিভাবে সরবরাহজনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে প্রভৃতি। আসলে গবেষণার বিষয় দিয়ে স্বাস্থ্যবিদ, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ এমনকি বিজিএমই এ নেতৃবৃন্দ কাজ করতে পারে। গবেষণার ফলাফলের সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি নীতিমালাও দরকার ছিল। 

কয়েকদিন আগে বহুচর্চিত ও পঠিত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেখছিলাম। সেখানে দেখলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামো নির্মাণের ওপর ১৯৭৩ সালে গুরুত্বারোপ করেছেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে না। বেসরকারী খাতে কর্মরত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্গে করোনার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আলাপ হলো। তাদের অধিকাংশই মন্তব্য করেন বেসরকারী হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের মালিকপক্ষ কেবল লাভ খোঁজেন। সে জন্য আসলে কোন ধরনের উন্নতমানের সেবা পেতে হলে মাত্রাতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয়। ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ জ্ঞানার্জনের পক্ষে করোনাকালে তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবী ন্যূনত মানের খরচে দেয়া সম্ভব নয়। দেশের আর্থিক অগ্রগতি ঘটলেও ধন বৈষম্য রয়ে গেছে। একটি সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় নৈতিক মানদ-ে উন্নত গবেষণায় সম্ভব। ধন বৈষম্যের কারণে যারা করোনাকালে স্বাস্থ্য খাত থেকে সেবা পাচ্ছেন না, তাদের ওপর গবেষণা করা দরকার। এদেশে সমস্যা হলো প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ঈর্ষা কাজ করে। এ ঈর্ষার কারণে কেউ ভাল কাজ করলেও টেনে ধরে নামাতে চায়। এটি অত্যন্ত অন্যায়।

গবেষকদের এদেশে অনেক সমস্যা। অর্থায়নের চেয়ে বড় কথা ডাটার সমস্যা। একবার ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে বছরওয়ারি চরম ও আপেক্ষিক দারিদ্র্য নিয়ে সরকারের সাফল্য সম্পর্কে কাজ করতে বললাম। কিন্তু দেখলাম যে, তারা পাঁচ বছর পর পর তথ্য বিবিএসের বইতে পাচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ফ্যাক্টস বুকেও ঠিকমতো নেই। আবার গিনি সহগের ডাটাও যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। আসলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সব সময় দেয়া দরকার। ডকুমেন্টেশন যদি ঠিকমতো না হয় তবে সানেমের মতো, পিআরআই, পিডব্লিউসি বাংলাদেশ প্রকৃতির মতো মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত হাজির করবে, যা সঠিক গবেষণাকে অবমূল্যায়িত করবে। সময়ের বিবর্তনে অনেক অর্থনীতির তথ্য ভা-ার বদল হয়। আরেকটি গ্রুপ কনসালটেন্সির জন্য ইচ্ছে করে দাতাগোষ্ঠীর অনুকূলে তথ্য-উপাত্ত পাল্টায়। যাঁরা গবেষণা করে থাকেন, তাদের অবশ্যই সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে। একটি উদাহরণ দেই, বছর দু’য়েক আগে একটি গবেষণায় দেখলাম শীতকালে নাকি এদেশে কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট হয়। সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করলাম। কারণ শীতকালে কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট হয় এটি আসলে আশির দশকের কথা। বর্তমান সরকার গত বারো বছরে গ্রামীণ অর্থনীতিকে এমন একটি ধাপে নিয়ে গেছে যে, ছদ্মবেশী বেকারত্ব করোনাকালের আগে কমে গিয়েছিল। ফলে বিকল্প অকৃষিজ খামার এবং দোকানপাট ও কৃষিনির্ভর শিল্প এবং নানা ধরনের পিঠা, পুলি বিক্রি করে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় বেড়েছে। 

সঠিকভাবে গবেষণা না করলে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সামাজিক উন্নয়ন অসম্ভব। এক্ষণে দেশে কর্মসংস্থানের সমস্যা হয় বর্ষাকালে। কারণ দেশের ৪০-৪৪টি জেলার বিভিন্ন অংশ ডুবে যাওয়ায় শিল্প খাতের সমস্যা প্রকটিত হয় এবং কৃষি খাতেও সমস্যা দেখা দেয়। আশ্চর্যের ব্যাপার, একজন গবেষক বললেন, আমরা এটি বিশ্বব্যাংক থেকে পাস করিয়ে এনেছি। দুঃখ চেপে না রেখে টকশোতে বলেই ফেললাম, নিজের দেশের অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে সেটি না জেনে গবেষণা করলেই এমন হয়। আসলে গবেষকদের উচ্চ মাপের ও নৈতিক মান বজায় রেখে গবেষণা করা দরকার। প্রয়োজনে এথিক্যাল কাউন্সেলিং এবং এথিক্যাল গাইড লাইন বজায় রেখে দেশে যাতে গবেষণা করে সে জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। দেশে গবেষণার মান বাড়াতে সরকারপ্রধান চাইলে কি হবে, আমাদের দেশে যাদের ওপর দায়িত্ব অপর্ণ করা হয়, তারা চায় কি না সেটি একটি বড় প্রশ্ন? ভারতে ইউজিসি তাদের জার্নালসমূহের ইনডেক্সিং করছে। কিন্তু আমাদের দেশের ইউজিসি জার্নাল ইনডেক্সিং করার কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে। অবশ্য গবেষণা না করেই অনেকে মনগড়া বক্তব্য অনেক সময় দিয়ে বাহবা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রপাগা-ার খুব একটা তফাত নেই।

করোনাকালে বৈশ্বিক পরিম-লের মতো আমাদের দেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। অথচ সামনে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা। অনেকেই চাকরি-বাকরির পরীক্ষাও দিতে পারছেন না। আমরা যদি আমাদের শিক্ষাবিদদের দেখতাম যে, করোনাকালে কিভাবে পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া যায় সে সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণাপত্র গবেষণা করে দেয়ার জন্য তবে বুঝতাম তারা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি কাজ করেছে। প্রথমেই আসা যাক ইন্টারনেটের ব্যবস্থাপনায়। শহর ও গ্রামীণ এলাকার মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড বিরাজ করছে। ফলে অনেকেই ইন্টারনেটের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এমনকি গত ২৯ মার্চ, ২০২১ থেকে অনেকেই ধানম-ির তাদের বাসায় ইন্টারনেটের সংযোগ টেলিটকে পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বার বার কমপ্লেন করেও কোন ফল হচ্ছে না। গত বছর থেকে যেখানে টেলিটক ভাল সার্ভিস দিয়েছিল। হঠাৎ তরঙ্গ নতুন করে বরাদ্দের কারণে কেন এমন সমস্যার সৃষ্টি হলো, তা বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে অবশ্যই টেলিটক থেকে রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করা প্রয়োজন, যাতে করে গ্রাহকরা পেনডেমিকের সময়ে ভাল সেবা পান। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষাও অনলাইনের মাধ্যমে নেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। এমনভাবে নিতে হবে যাতে দূর থেকে গার্ড অনলাইনে দেয়া যায়। জানি অনেক ছাত্রছাত্রীর ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য নেই। 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৃথক তারিখে পৃথক প্রশ্নের সেট স্থাপন করে এবং ল্যাপটপ ধার হিসেবে বিতরণ করে দফাওয়ারি পরীক্ষা গ্রহণ করলে সেটি যথোপযুক্ত হতে পারে। এ জন্য সুপরিকল্পিত উপায়ে গবেষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে। গবেষকদের মানমর্যাদা ও অর্থায়ন বিদেশে দেয়া হয়। আমাদের দেশে তার ধারেকাছেও নেই। সরকারপ্রধানের দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকায় যথাসময়ে সুশৃঙ্খলিতভাবে করোনাভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছিলেন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারীর কারণে তাতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
 
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে বিকল্প পথে সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। এক্ষণে সরকারের কাছে আবেদন থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে যাতে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। বঙ্গোভ্যাক্স টিকাটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বিএমআরসিকে আরও তৎপর হতে হবে। করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে এবং দেশে সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতে টিকা উৎপাদিত হলে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক সবার জন্য টিকা উন্মুক্ত করা আবশ্যক।

লেখক : ম্যাক্রো, ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও আইটিএক্সপার্ট
Pipulbd@gmail.com

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি