ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

ফের ইবির বন্ধ হলের গ্রিল ভেঙে চুরি

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৩৪, ৯ জুলাই ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বন্ধ হলে আবারও গ্রিল ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি কম্পিউটার, রাউটার, মাইক্রোফোন, ট্রাইপডের মতো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নানান জিনিস চুরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ১১৭ নম্বর কক্ষে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও একই কক্ষে চুরি হয়েছিল বলে জানা গেছে। 

বন্ধ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরেও চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে চুরির কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করেছেন তারা।

শুক্রবার (৭ জুলাই) ভুক্তভুগী ল' এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী (তৌহিদ) বলেন, আমি ৭ তারিখ বিকাল ৫টার দিকে হলের খাতায় এন্ট্রি করে হলে প্রবেশ করি। তারপর আমার রুমের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাই। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জাগলে হলের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীকে জানাই এবং তাকে নিয়ে রুমের পেছনে আসি। তারপর রুমের গ্রিল কাটা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ হল প্রভোস্টকে জানাই এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে রুমে প্রবেশ করি।

তিনি আরও বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখ সকালে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাই। রুমে আমার একটি ডেক্সটপ ছিল। যা আমি ২০২২ সালের দিকে চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে বানিয়েছিলাম। তা চুরি হয়ে যাওয়ায় বড় রকমের ক্ষতি হয়ে গেল। দ্বিতীয়বার জিনিসটি ক্রয় করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, যেহেতু গ্রিল ভেঙে চুরি হয়েছে তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রুমমেটদের কি কি নিয়েছে আমি জানি না। সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পেয়েছি। তারা আসার পর সেগুলো বলা যাবে। 

এ বিষয়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বন্ধে হলে চুরি হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে প্রশাসনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বন্ধে প্রশাসনের উপর আস্থা রেখেই সকল কিছু হলে রেখে যাই। কিন্তু চুরির ঘটনাগুলো এখন আমাদের জীবনের নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন বলেন, চুরির বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। চুরির ঘটনাটি অবশ্যই মানবিক। 

এ প্রসঙ্গে সিকিউরিটি ইনচার্জ মো: আব্দুস সালাম বলেন, নিরাপত্তা কাউন্সিলের মিটিংয়ে হলগুলোর পেছনে সিকিউরিটি লাইট ও পরিস্কার করার দাবি জানিয়েছিলাম যাতে নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সুবিধা হয়। তবে কিছু কিছু হলে তা হয়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগে মিটিংয়ে স্ব-স্ব হলের প্রভোস্টদের হলের চারপাশ পরিষ্কার ও সিকিউরিটি লাইট দিতে বলা হয়েছিল নিরাপত্তা জোরদারের স্বার্থে। কিছু হলের পেছনদিক পরিস্কার ছিল না। নিরাপত্তা কর্মীরাও সেদিক হয়তো ভালোভাবে যেতে পারেনি। তাই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত চুরির ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও আল-কুরআন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল খালেক নামের এক শিক্ষার্থীর কক্ষ থেকে আনুষাঙ্গিক জিনিস চুরি হয়েছিল বলে জানা যায়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি