ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষার কথা আগেই জানতেন জোবেদা, পেয়েছিলেন ক্ষুদে বার্তা

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১২:১৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ এনে অনশন করা ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পরিক্ষার্থী জোবেদা আক্তার আগে থেকেই পরীক্ষার কথা জানতেন বলে প্রশাসনের কাছে স্বীকার করেছেন। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে সাবেক এ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ক্ষুদে বার্তা ও মুঠোফোনে কলও পেয়েছেন এবং ডাকযোগের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষার জন্য জানানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়র সিন্ডকেট চলাকালীন হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন এ শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক পদে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তার। তবে বাকি সব প্রার্থীদের পরীক্ষা গত ২১ সেপ্টেম্বর নিলেও তাকে জানানো হয়নি এমন অভিযোগ এনে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সিঁড়িতে অনশনে বসেন তিনি। 

অনশনের খবর পাওয়া মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান এবং জোবেদার সঙ্গে কথা বলেন। তারা কথা বলার জন্য জোবেদাকে নিয়ে প্রক্টররের কক্ষে বসেন।

ক্ষুদে বার্তা, মুঠোফোনে কল দেয়া এবং ডাকযোগের মাধ্যমে তাকেপরীক্ষার কথা জানানোর সমস্ত প্রমাণ দেখায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে আগে থেকেই তিনি পরীক্ষার কথা জানতেন এবং লিখিত আকারে ক্ষমা চাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন জোবেদা। 

সে এসব করতে চায়নি তাকে ইন্ধন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কার ইন্ধনে এমন করেছে সেটা বলতে রাজি হয়নি জোবেদা। 

কথাবার্তার এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামীর সঙ্গে কথা বলব, একটু বাইরে থেকে আসতেছি, একথা বলেই কক্ষ থেকে পালিয়ে যান জোবেদা। 

দীর্ঘক্ষণ (জোবেদা) রুমে না আসলে প্রশাসন  আশেপাশে খোঁজ করে কিন্তু ক্যাম্পাসের কোথাও তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

এদিকে, দিনভর মিথ্যা-বানোয়াট নাটকীয়তার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস অস্থীতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেয়ার আহবান জানিয়ে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অস্থিতিশীলকারীদের রুখে দাও ছাত্র সমাজ! সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ সবসময় রুখে দাঁড়াবে।’ 

আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় যখন ক্যাম্পাস ভালো চলছে। তখন কিছু মানুষের বদহজম হয়েছে। তারা চায়না ক্যাম্পাস ভালো চলুক। ক্যাম্পাস স্থীতিশীল থাকুক। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জোবেদা আক্তারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, জোবেদা মেয়েটি প্রক্টর অফিসে এসে কান্নাকাটি করেছে, তার ভুল বুঝতে পেরে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। 

কারো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, জোবেদা আমাদের জানায় বন্ধু-বান্ধবদের প্ররোচণায় সে এমনটা করেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি