ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষার্থীদের অবসাদ দূর করতে বহুমাত্রিক উপদেশ (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার

প্রকাশিত : ১২:৪৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:২৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

টানা দেড় বছর ঘরবন্দি ছিল স্কুলে ফেরা শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তাই মানসিক জটিলতা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। সূক্ষ্ম এসব অন্তরায় দূর করতে শিশু মনের সুস্থ বিকাশ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

প্রত্যেক সংসারেই কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে। পরিবারের পাশাপাশি তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুদের কাছে কাঙ্ক্ষিত এক স্বর্গে রূপ নেয়। ৫৪৩ দিন পর শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ফিরলেও দীর্ঘ এ সময়ে অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে মানসিক বৈকল্য।

গণশিক্ষা বিশেষজ্ঞ রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শিক্ষকদের সাথে যে মিথসক্রিয়া হয়ে থাকে, তার তো কোন বিকল্প নেই। প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে একধরনের সেপারেশন এ্যাংজাইটি কাজ করতে পারে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সতের মাসের গ্যাস আমি সতের দিনে শেষ করে ফেলবো সেটির কোন সুযোগ নেই। বাবা-মায়েরা যদি অস্থির হয়ে একটার পর একটা ক্লাস, একটার পর একটা কোচিংয়ের দিকে সন্তানদেরকে পাঠিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু তাদের মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি বিপন্ন হবে।

শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে শিক্ষার্থীদেরকে ধীরে ধীরে শিক্ষার সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার মতো করে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়া। শিক্ষার্থীদের এই মানসিক বিশৃঙ্খলাকে শৃঙ্খলার পথে ফিরিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত, ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে পূর্ণ পাঠের দিকে অগ্রসর করে নেয়া।

শিশু মনের অবসাদ দূর করতে বহুমাত্রিক উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাড়াহুড়ার কোন সুযোগ নেই, তারা কিন্তু এটা নিতে পারবে না। তখন কিন্তু তাদের ভেতরে আচরণের সমস্যা, আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা, হতাশা, বিষণ্নতা, বিপন্নতা, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিবে এবং দিন শেষে তাদের পড়ালেখা খারাপ হবে।

অধ্যাপক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, অনেকগুলো উপদেশ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া যথার্থ হবে না। এতে তাদের বিকাশ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। শিক্ষকদের প্রধান কৌশল হতে হবে শিক্ষার্থীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা, উৎসাহিত করা।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, একটি হচ্ছে অভিভাবকরা বা পরিবার, আরেকটি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যটি হচ্ছে শিক্ষক। এই তিনটি পক্ষের উচিত হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের মনোভাব জাগিয়ে তোলা। তাদের মনের মধ্যে যাতে কোন ধরনের অবসাদ, ভয়-ভীতি না আসে। শিক্ষকদের মধ্যেও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

সঠিক পরিচর্যায় ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে বিষণ্নতা, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা- অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি