মৃত্যুকূপ থেকে ৬ কিশোর উদ্ধার

থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকাপড়া ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ছয় কিশোরকে উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। বৃষ্টির পানি আর অন্ধকারে ওই গুহাটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশটির ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম দফায় ৪ জন ও দ্বিতীয় দফার ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। বাকিদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার করার পর শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এর জন্য অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি হেলিকপ্টারও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, গুহার ভেতরে এখন পানি কম। এ জন্য কিছুটা অংশ যা সাঁতরে পার হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা হেঁটেই পার হতে পেরেছে শিশুরা। গুহার ভেতরে এখনও ৬ জন শিশু ও তাদের ২৫ বছর বয়সী ফুটবল কোচ রয়েছেন। তারা যে স্থানটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তা গুহার প্রবেশ মুখ থেকে ৪ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত। গুহাটি ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ।

ওই শিশুদের কেউ সাঁতার জানত না। তাদেরকে উদ্ধারে বিদেশ থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের ডেকে আনা হয়েছিল। তবে শিশুদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে থাই সেনাবাহিনীর একজন সাবেক ডুবুরি প্রাণ হারিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন সিলিন্ডার বসানোর কাজ করতে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তার মৃত্যু হয়।

ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলের ১২ কিশোর ও তাদের এক কোচ ২৩ জুন বেড়াতে গিয়ে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং গুহায় আটকা পড়ে। ভারি বর্ষণ ও কাদায় গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা গুহাটিতে আটকা পড়েন।

সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান
এমজে/