ইউরোপেই প্রাণহানি লাখের বেশি
প্রকাশিত : ০৯:৪৫, ১৯ এপ্রিল ২০২০

উৎপত্তিস্থল চীনের উহানের পর করোনার দ্বিতীয় আশ্রয়কেন্দ্র হয় গোটা ইউরোপ। যেখানে মৃতদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই এই মহাদেশের নাগরিক। যার সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব খ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ২৩ লাখ প্রায় ৩১ হাজার এবং মৃত্যু ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১ লাখের ৫১০ জনই ইউরোপীয় নাগরিক।
ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। তারপরও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। যার গতি কোথায় গিয়ে থামবে এখনও অজনা।
ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় স্পেন ও ইতালি। দেশটি দুটিতে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এর মধ্যে স্পেনে ২০ হাজার ৬৩৯ জন, আর ইতালিতে ২৩ হাজার ২২৭ জন। দুই দেশে আক্রান্ত যথাক্রমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ ও ১ লাখ প্রায় ৭৬ হাজার।
পাশেই ঝুলছে সহগোত্রীয় দেশ ফ্রান্স। যেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৩২৩ জন মানুষ করোনায় মারা গেছেন। আক্রান্ত দেড় লাখের বেশি।
পিছিয়ে নেই যুক্তরাজ্যও। যেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেশটির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। দেশটিতে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ করোনা প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত প্রায় সোয়া লাখ মানুষ।
আর ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র জার্মানিতে মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। বেলজিয়ামে মারা গেছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। সেখানে আক্রান্ত ৩৭ হাজারের বেশি।
তবে মহামারির কারণে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বেশ কিছু দেশ বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডে এ সপ্তাহেই দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের চালু হচ্ছে।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে করোনার মূলকেন্দ্র ইউরোপ হলেও মার্চের মাঝমাঝি থেকে এককভাবে বিস্তার লাভ করতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। আক্রান্তের দিক থেকে ট্রাম্পের দেশের ধারে কাছেও নেই কেউ। দেশটিতে ৭ লাখ সাড়ে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন।
যে অবস্থার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে দোষারোপ করছেন। এমন অবস্থায় অর্থনীতি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এআই/
আরও পড়ুন