ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪

নরওয়েতে অভিবাসীদের জন্য ধর্ষণ প্রতিরোধে ক্লাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০, ৭ জুন ২০১৮

নরওয়ের জনসংখ্যা ৫০ লাখ। তাদের মধ্যে চার লাখ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা। নরওয়ের মতো একটি উদার পশ্চিমা সমাজে এসে নতুনভাবে জীবন শুরু করা অভিবাসীদের অনেকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

ফলে তাদের সার্বিক সহায়তার জন্য নরওয়েজিয়ানদের উদ্যোগে সেখানে বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে অনেক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে কালচারাল কোডিং ক্লাস।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থেকে আসা চার লাখের বেশি অভিবাসীকে জায়গা দিয়েছে নরওয়ে। তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে সহায়তার জন্য এই কালচারাল কোডিং ক্লাস করানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মার্গারেট বার্গ। তিনি বলেন, এই কোর্সে গুরুত্ব দেওয়া হয় নিরাপত্তার জন্য একদল নারীকে একতাবদ্ধ থাকার বিষয়টিকে। আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা। কিন্তু ভিন্ন এক সংস্কৃতির মাঝে কিভাবে শিশুদের বড় করে তুলতে হয় সে বিষয়েও আমরা তাদের সচেতন করি।

তিনি বলেন, এটা বেশ ভালো কাজ করছে। এই কোর্সের শেষে তাদের কাছে প্রশ্ন থাকে যে, অভিভাবক হিসেবে তাদেরকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করবে কোন বিষয়টি? যদি আপনার মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয় সেটি? নাকি-যদি আপনার ছেলেটি কাউকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়, সেটি?

তিনি আরও বলেন, অনেক আলাপ আলোচনার পর আমরা যে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছাই সেটি হল, এমন ক্ষেত্রে মেয়েটি হয় ঘটনার শিকার অর্থাৎ ভুক্তভোগী সে। কিন্তু ছেলে সন্তানটি যদি হামলাকারী হয় সেটি বাবা-মার জন্য বেশি হতাশাজনক।

সিরিয়া, ইরাক এবং ইথিওপিয়া থেকে আসা নারীরা এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা দেখানো হচ্ছে তাদের।

ইথিওপিয়া থেকে আসা অভিবাসী ওয়ারকিয়ে বলছিলেন এটি তাদেরকে কিভাবে সচেতন করছে।

‘আজ আমি জানতে পারলাম যে আমার সঙ্গে কোনও কিছু ঘটলে কোথায়, কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেই সঙ্গে কেউ যৌন হয়রানির কিংবা ধর্ষণের শিকার হলে তাকে কিভাবে সাহায্য করতে হবে, জানলাম। এই ইস্যুতে এখন আমিও পারবো অন্য কাউকে শেখাতে।’

আরেকজন অভিবাসী বেইমনেট বলছেন, ‘এখানে বিষয়টা হল-কিভাবে আপনি আপনার বাচ্চাদের গড়ে তুলবেন সেটা জানার সুযোগ হচ্ছে। তাদের সঠিক পথে নির্দেশনা দেওয়া, ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে কিভাবে একজন যোগ্য অভিভাবক হয়ে উঠতে হয়, সেটা এখানে এসে জানতে পারলাম।’

চারবছর আগে সিরিয়া থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছে মায়সাম এবং মোহাম্মদ। তারা এখন নরওয়েজিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারে। ভালো চাকরি জুটেছে তাদের, সেইসঙ্গে বেশকিছু নরওয়েজিয়ান বন্ধু হয়েছে।

মায়সাম বলছেন, ‘যখন আমরা নরওয়েতে চলে এলাম, তখন এখানকার সরকারের কাছ থেকে বেশ ভালো সহায়তা পেয়েছি। দেশটি সম্পর্কে এবং এখানকার ভাষা সম্পর্কে বেশকিছু কোর্স করার সুযোগ হয়েছে।’

এই সিরিয় নারী অভিবাসী মনে করেন, এখানে যে ধরনের কোর্স হচ্ছে, মেয়েদের এ ধরনের সুযোগ দরকার যাতে করে তারা সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতার বিষয়ে আরো জানতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি