ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের পক্ষে মন্তব্য করে তোপের মুখে টুইটার প্রধান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৩৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন টুইটারের প্রধান কর্মকর্তা জেক ডোরসি। মিয়ানমারকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে টুইট লিখে বেকায়দায় পড়েছেন ডোরসি।         

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া যখন সমালোচনা মুখর, তখন মিয়ানমারের প্রশংসা করে ডোরসি লিখেছেন, "সেখানে মানুষেরা আনন্দ-ভরপুর আর খাবার-দাবারও অসাধারণ"।  

মিয়ানমার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন ডোরসি।

সেগুলোতে বলা হয়েছে, গত মাসে তিনি মিয়ানমারের উত্তরাংশে ভ্রমণ করেছেন। মেডিটেশন বা ধ্যানকে কেন্দ্র করেই মূলত ছিল তার এই বিশেষ পরিভ্রমণ।   

টুইটারে ডোরসির প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ার বা অনুসরণকারী রয়েছে।   

এই ব্যাপক সংখ্যক অনুসরণকারীদের সামনে তিনি মিয়ানমারকে ভ্রমণের ইতিবাচক গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেও সেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপরে নির্যাতন, নিপীড়নের ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি মি. ডোরসি একেবারেই উপেক্ষা করে গেছেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।  

গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সহিংস অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছে শিশু ও নারীসহ কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ।  

মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বহু নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও জমির শস্য।   

জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।  

এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে মিয়ানমারকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরায় ডোরসি`র টুইটকে `নিন্দনীয়` বলে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করে মন্তব্য লিখেছেন একজন।

আরেকজন মন্তব্যকারী আরও বেশ কড়া ভাষায় লিখেছেন, "এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পরামর্শ।"  

মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে এই ব্যক্তি আরও লেখেন, "এতো নিউজ, এতো হৈচৈ-কোলাহল হচ্ছে। অথচ এই নিয়ে উনার প্ল্যাটফর্মে কোনও মনোযোগ নেই?"

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেছে অন্য আরও অনেকে।

গত মাসে ফেসবুক বলেছে যে, মিয়ানমারে `অফলাইন` বা মানুষের বাস্তব জীবনে যে সহিংসতা চলছে তা থামাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।  

এই বিষয়টিকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, "গণহত্যা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু জেক ডোরসি খুব গর্বের সাথে তুলে ধরেছেন তার নীরব পরিভ্রমণের খবর"।  

আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই বলে ডোরসিকে প্রশ্ন করেছেন যে, ‘‘তুমি যখন মিয়ানমারে ধ্যান করছিলে তখন কি ধ্যানের ভেতর মিয়ানমার সরকার ও তাদের সমর্থকরা তোমার প্ল্যাটফর্মকে (টু্‌ইটার) ব্যবহার করে কীভাবে সহিংসতার বিস্তার ঘটাচ্ছে তা থামানোর উপায় খুঁজেছিলে?’’   

এসি 
   
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি