ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

সেই বিচারকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেবেন আইনমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৮, ১৩ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওই বিচারকের (বেগম মোছা. কামরুন্নাহার) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু উনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, এই যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।’
 
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমি প্রধান বিচারপতির কাছে তাকে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লিখছি। রোববার এই চিঠি দেওয়া হবে।’

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ ধর্ষণের মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন। 

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল রিলেশনে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি