ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের কবি কিংশুক চক্রবর্তীর গুচ্ছ কবিতা

কিংশুক চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ২১:০৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সাদা কবুতর
কিংশুক চক্রবর্তী

ছিঁড়ে ফেলা গ্যাছে অনেক কিছুই 
গোপনে 

অনেক প্রতিজ্ঞা -
বৈদিক গাঁট রেখে দর্শন-ভার 
বোঝাপড়ার পোশাকি চাদরের নীচে 
কৃশ অন্তর্বাস 
 
আগলে রাখা আগুন 
অবশেষে খুলে দিলে একান্তে বল্গাহীন 
বৃষ্টির মতো ঝেঁপে আসো 
মরুবুকে 

লোকালয়ে 
দর্পণ চিনে ফিরে যায় কপালের টিপ্ 
মেঘ 
শান্ত হলে তৃষা 
ভেসে যায় ছায়াটুকু নিয়ে

ভাঙা প্রাচীরের শোক 
নিম্নচাপের কারণের কাছে দায়ভার খুঁজে 
জমা রেখে পাপবোধ, অনন্তে উড়ে যাওয়া 
সাদা কবুতর


এপিটাফ
কিংশুক চক্রবর্তী

অস্বীকার করে যাক 
ওরা পদচিহ্ন 
লিখে রেখে যাচ্ছি নিজের এপিটাফ 
যতটুকু পারি 

বহমানতায় থাকে থাক -
নির্জনতা 
বৃক্ষময়তার যাপনে 
থাক শুধু জৈবিক গুঞ্জন 

আরোপিত রসায়নে 
কতদিন আর এ গেরস্থালি 
বেড়ে ওঠা শহরে 
হাঁপিয়ে ওঠবে ফুসফুস একদিন 
নগ্নতার ঢাকনা খুলে 
এ কিউ আই 
রেখে দিয়ে যাবে কফিনের ফরমান 

কটা হরপ্পার খোঁজ পেলে এতদিন?
সত্যনিষ্ঠ -
তাই অগুনতি এপিটাফ


বুদ্ধপূর্ণিমা
কিংশুক চক্রবর্তী

পূর্ণিমা এলো 
যেমন আসে সুকান্তের কবিতায়। 

মাতঙ্গিনীর পায়ে জড়ো হওয়া নক্ষত্রেরা
মৃত উনুনের দুঃস্বপ্নে 
ছাই হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ 

ব্যস্ত শহর পেরোচ্ছে 
প্রাগৈতিহাসিক উড়ালপুল 
উদাসীন উড়ে যাচ্ছে উড়োজাহাজ 
দানা চিনে  
খসা-ডানা পায়রার 
নির্বাক   
খাঁটাপথে এরিয়াল রুট! 
গরু ভেড়া চরাচ্ছে মত্ত কসাই

মাতঙ্গিনী জেগে উঠছে না আর
পূর্ণিমা কেন আসছে না সেই বুদ্ধের মতো


কার্পণ্যের নয় কদাচিৎ 
কিংশুক চক্রবর্তী

বলছি না 
আমার লো হাইট সিলিঙের এক মহলায় 
তুমি আসবে কখনো 

আসলে কিছু ইঁট চড়িয়ে 
পোড়া আগুনের ইতিবৃত্তে ধরে রাখি শ্বাস 
আর যা হোক 
তাতে চিলের আকাশ নেই

আছে শুধু চেষ্টায় 
চিলেকোঠার বুক খোলা ছাদে 
ক্ষনিকের সরানো দু চারটে মেঘ

খোলা দরজা 
কারো প্রতিক্ষায় নয় 
অন্ধকূপে ধার করি জোছনার আলো 

তুমি হাঁটছো তারার খোঁজে 
আমাদের চৌমাথার মোড় -
তাই কাকতালীয়


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি