ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ১৮ আগস্ট ২০২০

করোনার প্রভাবে ভেঙে পড়তে পারে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। কোনো কোনো অঞ্চলে দেখা দিতে পারে খাদ্য সঙ্কট। এমন পূর্বাভাসও দিচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। পরিস্থিতি বিবেচনায় এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এখন মোট পতিত জমির পরিমাণ ১১ কোটি শতক। আর এমন জমি চাষের আওতায় আনতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

সমতল ভূমির দেশ বাংলাদেশ। এর বেশিরভাগ জমিই চাষযোগ্য। চাষ হয় ধানসহ বিভিন্ন রকম ফসল। আর গড়ে পরিবার প্রতি জমির পরিমাণ প্রায় ৮২ শতক। 

এসব জমির মধ্যে বসতবাড়ি, পুকুর, স্থায়ী ফসলি জমি, অস্থায়ী ফসলি জমির পাশাপাশি রয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী পতিত জমি।
 
প্রকার অনুযায়ী জমি বিভাজন: 
জমির বিবরণ    পরিমাণ (শতক)
বসতবাড়ি                 ২১,২৯,৬৩,২৩৭
পুকুর                           ৫,৫৪,৮১,২২৭
স্থায়ী ফসলী জমি       ১২,৩৪,৩৮,২৯৫
অস্থায়ী ফসলী জমি  ১৭৬,৪৭,৭৭,২৮৪
স্থায়ী পতিত জমি           ৯,৩১,৫৯,২১৯
মোট ব্যবহৃত জমি    ২২৬,৫১,৭৪,৫৯৮

অস্থায়ী পতিত জমি বলতে বোঝায় যেসব জমিতে চলতি বছরে আবাদ বা কোনো ধরনের শস্য উৎপাদন হয়নি কিন্তু তার আগে আবাদ হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১ , ২  ও ৩ ফসলী জমি। 

কখনই কোনো ধরনের আবাদ বা শস্য উৎপাদন হয়নি এমন জমিকে বলা হয় স্থায়ী পতিত জমি, দেশে এমন জমির পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৯ হাজার শতক। পরিবার প্রতি এ ধরনের পতিত জমি রয়েছে গড়ে প্রায় তিন শতক করে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব জমিকে আবাদের আওতায় আনলে গড়ে ১৫ শতাংশ আবাদ বৃদ্ধি পাবে। সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতি।

তিনি বলেন, দেশে পাঁচ শাতংশ জমি অনাবাদি, এই অনাবাদি জমি ভালো ভাবে চাষাবাদ করলে,  খাদ্যশস্য, ফলমূল ও শাকসবজির, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান বলেন, স্থায়ী পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পাশাপাষি, ১ ফসলি জমিকে ২ ফসলি জমিতে রুপান্তরসহ উঠানেও ফল-ফসল চাষের প্রক্রিয়া চলছে। 

তিনি বলেন, প্রথমে মোটিভেন ওয়ার্কের মাধ্যে সারাদেশে স্থায়ি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিদের পুষ্টিচাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। 

তিনি বলেন, ঘরের আঙ্গিনায় ফলের গাছ লাগানো, অপ্রচলিত ড্রাগন ফলসহ নানা রকম ফলের ফলের চারা ও বীজ দেওয়া, সার দেওয়া, যাতে করে মানুষ সারাবছর সবজি ফলাতে পারে, এই বিষয়ক ১৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প সরকারের বিবেচনার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন কোনো কৃষিজমিতে চাষাবাদ না হলে অধিগ্রহনের বিধান আছে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

এসইউএ/এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি