ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১৫ জুন শুরু জনশুমারি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৬, ৭ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৫, ৭ জুন ২০২২
স্বাধীনতার একান্ন বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় আড়াই গুণ হয়েছে। তবে বৃদ্ধির হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এমন বাস্তবতায় জনসংখ্যার হালনাগাদ পরিসংখ্যান জানতে ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে জনশুমারি। এবারই প্রথম তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে ব্যবহার করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। পরবর্তিতে ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারি অনুযায়ী ৭ কোটি ৪৬ লাখ মানুষের তথ্য দেয় সরকার।
দ্বিতীয় আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয় ১৯৮১ সালে। ১০ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণ করে দেশের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয় ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে।
সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী ২০১১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭৭২ হাজার ৩৬৪ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২১ সালে শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিতে আটকে যায়। এক বছর দেরিতে যা শুরু হচ্ছে ১৫ জুন। ষষ্ঠ শুমারি চলবে ২১ জনু পর্যন্ত। ইতিমধ্যে শুমারির নামেও এসেছে পরিবর্তন। ‘আদমশুমারি’ শব্দের জায়গায় বসেছে ‘জনশুমারি’।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, “২০১৩ সালে সরকার একটা আইন পাস করে, যে আইনটাতে আদমশুমারিকে জনশুমারি করা হয়েছে। শুধু এখানে নামটাই পরিবর্তন হয়েছে।”
এবারই প্রথম তথ্য সংগ্রহে ব্যবহার করা হবে ডিজিটাল ডিভাইস। এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি।
সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, “ঘরে ঘরে ডিজিটাল ক্যাব নিয়ে পৌঁছাচ্ছি। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, “প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ জনশুমারির কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। পেপার বেইজ প্রশ্ন নিয়ে গেলে যতক্ষণ সময় লাগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে গেলে বেশি প্রশ্ন নিয়ে গেলেও তার থেকে কম সময়ে করতে পারবো।”
প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য নেয়ার পাশাপাশি দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দিলদার হোসেন আরও বলেন, “স্যানিটেশন ফ্যাসিলিটিজ কি আছে, ড্রিঙ্কিং ফ্যাসিলিটিজ কি আছে, সেখানে কারা বসবাস করছেন, সেখানে কোন বিদেশি বসবাস করছেন কিনা- এরকম সামগ্রিক তথ্য উঠে আসবে।”
এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৮ লাখ।
যথযথ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন নির্ভূল পরিসংখ্যান। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ শুরু হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এবার হবে অতীতের তুলনায় সবচেয়ে নির্ভুল গণনা।
এএইচ
আরও পড়ুন