ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫

ছয় সমন্বয়কের অভিযোগ সঠিক নয় : নতুন ডিবিপ্রধান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫০, ২ আগস্ট ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অবস্থায় জোর করে মিথ্যা বিবৃতি নেওয়ার অভিযোগ তুলে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।

শুক্রবার (২ আগস্ট) ডিবির নতুন দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মহা. আশরাফুজ্জামান এ কথা বলেন। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের পক্ষ থেকে আজ গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানোর পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, তাঁরা যেসব অভিযোগ নতুন করে বিবৃতিতে উত্থাপন করেছেন তা সঠিক নয়, তাঁদের ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকার বিষয়টিও সঠিক নয়।

ডিবি পুলিশ মূলত তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থেই হেফাজতে নিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর নিরাপদ মনে করেই পরিবারের জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জোর-জবরদস্তি করে কোনো কিছুই করা হয়নি।

এর আগে সকালে বিবৃতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের পক্ষ থেকে বলা হয়, মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়কদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তার নামে ছয় সমন্বয়ককে সাত দিন ধরে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবিপ্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও মূলত আমাদের আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

ডিবিপ্রধান বলেন, এক কথায় যদি বলি, তাঁরা (ছয় সমন্বয়ক) বিবৃতিতে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সঠিক নয়।

তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) তো তাঁদের সামনাসামনি দেখেননি। ৩২ থেকে ৩৬ ঘণ্টা অনশনে থাকলে যে কাউকে দেখলেই বোঝা যাবে। তাঁদের এ অভিযোগ সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা যে কাজটা করি সেটার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এটা আমাদের প্রথম ম্যান্ডেট। যেহেতু তাঁরা বাইরে থাকা অনিরাপদ মনে করেছেন, তখন আমরা তাঁদের হেফাজতে রেখেছি।

এরপর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক মনে হয়েছে, পরিবার ও শিক্ষকরা যখন চেয়েছেন, তখন তাঁদের আমরা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ তাঁরা নিরাপদ মনে করেই গেছেন।’

আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিন্তু এমনি এমনি তাঁদের ছাড়িনি। সব প্রক্রিয়া মেনেই তাঁদের ছাড়া হয়েছে। যখন তাঁদের ছাড়ি তখন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ছিলেন, সঙ্গে ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁদের (ছয় সমন্বয়ক) স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করেছেন।’

কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি