সম্মাননা পেলেন ৭ গুণীজন
প্রকাশিত : ২২:৩৭, ১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৩৮, ৬ অক্টোবর ২০১৭

শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য সাত গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। অতিথিরা সম্মাননাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে স্বর্ণপদক ও নগদ অর্থ প্রদান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
সম্মাননা পাওয়া ইমেরিটাস অধ্যাপকেরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুলতানা সারওয়াতারা জামান, দর্শন বিভাগের আবদুল মতীন, ইংরেজি বিভাগের সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের আনিসুজ্জামান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের নাজমা চৌধুরী ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর কাছ থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক সুলতানা সারওয়াতারা জামানের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন লুবনা মরিয়ম।
এ ছাড়া অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমকেও (মরণোত্তর) সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পক্ষে তাঁর মেয়ে জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া গুণীজনেরা তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে যেমন জ্ঞানার্জনের স্থান, তেমনি সামাজিকতা শেখার প্রতিষ্ঠানও। বাংলাদেশে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অসাধারণ। এই বিশ্ববিদ্যালয় না হলে এটা হতো না। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে হতাশা বাড়ছে, অনিশ্চয়তাও বাড়ছে। এ দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে হবে।
আনিসুজ্জামান বলেন, ডাকসু থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাতিরিক্ত কার্যক্রমের চল থাকে। নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। এটা এখন বন্ধ আছে, ডাকসু পুনর্বহাল করা উচিত। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধ ও জ্ঞানের চর্চা বাড়াতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখতে হবে।
নাজমা চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন তাঁর মেয়ে বুশরা চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদ ফাঁকা থাকলে সেখানে পদায়ন করা হচ্ছে। পদ থাকলেই পদায়ন করতে হবে, এমন কোনো মানে নেই। পদায়নের সময় দেখতে হবে যাকে সেখানে দেওয়া হচ্ছে, তিনি ওই পদের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন কি না।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এ বছর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন