ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

জনগণের কণ্ঠস্বরকে আমলে নেওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৭, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জনগণের কণ্ঠস্বরকে আমলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উন্নয়ন মেলায়  এক সেমিনারে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসডিজির মধ্যে এশিয়া-আফ্রিকার দরিদ্র দেশসহ সকল অঞ্চলই অন্তর্ভুক্ত। মনে রাখতে হবে, এই লক্ষ্যসমূহ এমডিজির বর্ধিতকরণ নয়, এর মধ্যে অনেক বাড়তি এবং মৌলিক লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভাবনায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মধ্যেই এসডিজির প্রতিফলন আছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান পৃথিবীর বাজার অর্থনীতির বিশৃঙ্খলা থেকে সামাজিক অর্থনীতিতে রূপান্তরের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে এই ভাবনার মধ্যে, যার মাধ্যমে ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ নীতিকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে হলে বৈষম্য কমাতে হবে এবং দারিদ্র্য কমাতে হবে। এ কাজকেই তিনি এসডিজি অর্জনের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ বলে চিহ্নিত করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গ্রহণ করতে হবে, যেখানে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার উপরও বিশেষ জোর দেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘গণমানুষের কণ্ঠস্বর : বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন শক্তিশালীকরণ’।

আবদুল করিম বলেন, অনেকগুলো সরকারি কর্মসূচিতেই এসডিজির প্রতিফলন ঘটেছে। পিকেএসএফ ইতোমধ্যে তার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিতে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ১২টিই অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিশেষত, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের কথা উল্লেখ করেন।

সমৃদ্ধি কর্মসূচিতে এসডিজির ছয়টি লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত আছে। এ বিষয়ে তিনি সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এসডিজি বাস্তবায়নে উপদেশক কমিটি, পরিচালনা কমিটি এবং কার্যকরী কমিটির সমন্বয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি ভূমিকার পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও কী ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে এসডিজি অর্জনে যে মঞ্চ গঠন করা হয়েছে, তা অর্থের বরাদ্দের ওপর নির্ভরশীল নয়। প্রকৃতপক্ষে বাস্তবায়ন কতটা হলো তা নিরীক্ষণ করাই এই মঞ্চের উদ্দেশ্য।

প্রসঙ্গত, রোববার থেকে এই পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা চলছে। ছয় দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও আইটি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি