ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫

আনিসুল হকের জন্য কাঁদলেন সাঈদ খোকন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:৩৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সদ্যপ্রয়াত মেয়র আনিসুল হক বলিষ্ঠ ও সাহসী মানুষ ছিলেন। শহরে বা সমাজে আনিসুল হকের মতো মানুষ প্রতিদিন জন্মাবে না। তার এ শূন্যতা খুব সহজে পূরণ হবে না। শুক্রবার বিকেলে বনানীতে নিজ বাস ভবনে আনিসুল হককে স্মরণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, ‌‌‌‌আনিস ভাইয়ের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। প্রতিদিন আমরা সকালে কুশল বিনিময় করতাম। শহরের নানা সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতাম। মানুষের সেবার মনোভাব ছিল আমাদের মধ্যে প্রকট। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আমি অনুপ্রাণিত হই। আবার আমার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও তিনি অনুপ্রাণিত হতেন। দুজনে মিলেই দুই-আড়াই বছর সময়ে আমরা যে সমস্যা সমাধান করেছি, পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারার সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। হঠাৎ করেই এমন একটা ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা অত্যন্ত শোকাহত।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, আনিসুল হকের মৃত্যু আমাদের জন্য অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে যাবেন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন—এটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি, ভাবতেও পারিনি। তিনি বলেন, মানুষ সমাজে বাস করলে ভুলভ্রান্তি করেই থাকে। তার যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে আপনারা তা ক্ষমা করে দেবেন। আমি তার ছোট ভাই হিসেবে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমাদের পক্ষ থেকে ডিএনসিসির জন্য সাহায্য-সহযোগিতা থাকবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শনিবার বেলা ১১টা ৪০মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ তার বাসায় নেওয়া হবে। ওই দিন বাদ আসর তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে।

গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাকে দীর্ঘদিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে মেয়রের শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তার কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মেয়রের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি