চুক্তির বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আবারও আগুন জ্বলবে : সন্তু লারমা
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, শান্তিচুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো যদি বাস্তাবায়ন না হয়, পাহাড়ে আবারও আগুন জ্বলবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই কথা বলেন সন্তু লারমা। এ সভার আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে কখনোই শান্তি আসবে না। সরকার তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির দুই দশক পূর্তি হলেও এখনও মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তাবায়ন হয়নি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে তাতে আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে পার্বত্য এলাকা। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়িদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
সভার শুরুতে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের জন্য চুক্তি করা হলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় শান্তি আসেনি। সেনাবাহিনী পাঁচ লাখের বেশি বহিরাগতকে পাহাড়ে পুনর্বাসিত করেছে। ফলে উপজাতিদের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ হয়নি, হতে পারছেও না।
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট আইনও বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য বহুবিধ আইনের সংশোধন প্রয়োজন। যার কোনও উদ্যোগই নেয়নি সরকার। ভোটাধিকারের মাধ্যমে জেলা পরিষদ গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকা না হওয়ায় তিন পার্বত্য জেলায় নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ভোটার তালিকা প্রণয়নের কথা বারবার বলা হলেও সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায় না।
আলোচনা অংশ নিয়ে বেসরকারি বিমান ও পযর্টন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, জিয়ার শাসন থেকে পাহাড়ি এলাকার সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখনও সেই শাসন অব্যাহত রয়েছে। কিছু সাময়িক ক্যাপ উঠানো হলেও মূল সমস্যা সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, চুক্তি অনেক আগে সই হলেও এখনও মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হয় নি। এছাড়া ভূমি কমিশনের বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কথা রাখেনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সদস্য দীপায়ন খিসা। আরও উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।
/ডিডি/ এআর
আরও পড়ুন