কনকনে শীতে স্থবির জনজীবন
প্রকাশিত : ২০:৫৮, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:৪০, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

গত কয়েক দিন ধরেই সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশের উত্তর, দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়াও, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পাশাপাশি, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে থাকে। বিকেল তিনটায় দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। অপরদিকে শীতে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা, জন্ডিস, সর্দি ইত্যাদির কারণে প্রতিদিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখানে সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে বোরো খেতের বীজতলায় দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি। মাঠে বর্তমানে রয়েছে আলু, গম, পান, ডাল, ভুট্টা, সবজি ও বোরোর বীজতলা।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা হয় ৫টা ২৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন