জনগণের ভোট ছিল বলেই মেয়াদ পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২২:৩৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪১, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকলে সরকার পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ করতে পারত না। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোনোভাবেই ভোটারবিহীন নির্বাচন না। ওই নির্বাচনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, দশম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অংশগ্রহণ ছাড়াই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগসহ অন্য দলের নেতারা ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির নির্বাচন প্রতিহতের কর্মসূচিতে সহিংসতার শঙ্কার ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়। পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, যে সব আসনে নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি।
নির্বাচনে বিএনপির সহিংস কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচনে ভোট ঠেকানোর জন্য খালেদা জিয়া আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ৫৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করেছিল। তাদের রুখে দাঁড়িয়েছে দেশের মানুষ।
বিএনপি অভিযোগ করে, একদলীয় ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র হরণ’ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে দলটি।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জানান, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ছে বলেই আমরা চার বছর পূর্ণ করতে পেরেছি। আর জনগণের সমর্থন না থাকায় ১৯৯৬ সালে বিএনপি এবং ১৯৮৮ সালে এইচএম এরশাদ একদলীয় নির্বাচন করে টিকতে পারেননি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া টিকতে পারেনি, ১৫ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছে, ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। মাত্র দেড় মাস ছিল তারা। এরশাদও পারে নাই। এরশাদ ’৮৮ সালে নির্বাচন করেছে। ’৯০-এ তার পতন ঘটেছে।
খালেদা ও এরশাদ সরকারের টিকতে না পারার কারণ হিসেবে ‘ভোট কারচুপির’ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা ভোট চুরি করেছিল আর আমাদের লক্ষ গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করা। সমালোচনাকারীদের নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছিল- এটাই আমাদের অপরাধ? অনেকের হৃদয়ে ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ বিরাজমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকতে হবে। আল-বদর ও যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণের কল্যাণ হবে না। আমাদের জীবন থেকে ২৮ বছর হারিয়েছে। আর একটা দিনও হারাতে যেন না পারে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন