বিদ্যুতের দাম কমাতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম ক্যাবের
প্রকাশিত : ১৭:০৮, ৭ জানুয়ারি ২০১৮
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবি করে দাম কমাতে ১০ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব)। রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এই সময়সীমা বেধে দেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।
ক্যাব সভাপতি বলেন, বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং গণশুনানিতে বিদ্যুতের মূল্য কমানোর প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এ সময় বিদ্যুতের দাম কমাতে আগামী দশ দিনের মধ্যে আল্টিমেটাম দেন ক্যাবের সভাপতি। এমনকি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ক্যাব।
তিনি বলেন, আমরা গণশুনানিতে প্রমাণ করে দিয়েছি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয়, কমানো সম্ভব। দাম বাড়ানোর কারণে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিরপেক্ষ নয়। তারা অনেক ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। এমনকি কমিশনের কারিগরি কমিটির সুপারিশও তারা আমলে নিচ্ছে না।
আগামী মার্চের পূর্বেই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে ক্যাব সভাপতি বলেন, এক সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ছিলো আকাশচুম্বি। সেই অজুহাত দেখিয়ে তেলের দাম বাড়ানো হয়। এখন দাম কমলেও মুনাফার পাহাড় গড়ছে বিপিসি। কিন্তু দাম কমানোর বিষয়ে আগ্রহ নেই। ক্ষেত্র বিশেষে শুধু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে তাদের ততটা আগ্রহ নেই।
ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকার যদি সাশ্রয়ী মূল্যে উৎপাদনে প্রাধান্য দিতো তাহলে ৭ হাজার ৮শ’ ৪৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। তাহলে আজকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। বরং ইউনিট প্রতি দাম ১.৫৬ টাকা কমানো যেতো। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি জ্বালানির খরচ (গ্যাস) ৮৪ পয়সা। আর রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি খরচ হচ্ছে ৯২ পয়সা।
/ এআর /
আরও পড়ুন