ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি

১৮২ পুলিশকে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীর ১৮২ জন সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম, বিপিএম-সেবা, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক-পিপিএম ও পিপিএম-সেবা পদক দিয়েছেন।

সোমবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের বীরত্বসূচক মেডেল পরিয়ে দেন।

পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জন বিপিএম ও ৭১ জন পিপিএম পদক পেয়েছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-সেবা এবং ৫৩ জন পিপিএম-সেবা পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে মরণোত্তর বিপিএম পদক পেয়েছেন দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিহত র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর ও পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। গত বছরের ২৫ মার্চ সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় এ তিন কর্মকর্তা বোমা হামলায় নিহত হন। তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যরা এই পদক গ্রহণ করেন।

সকালে প্যারেড গ্রাউন্ডে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি ও বর্তমানে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দফতরের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিসি মহিবুল ইসলাম খান, এডিসি এস এম নাজমুল হক, এডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরীসহ ৩০ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর হাতে বিপিএম পদক গ্রহণ করেছেন।

বিপিএম-সেবা পদক নিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহম্মেদ, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলার এসপি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের এডিসি নাজমুল ইসলামসহ ২৮ জন।

পিপিএম পদক নিয়েছেন র্যাবের লে. কর্নেল আরিফ উদ্দিন মাহমুদ, লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ ৭১ জন। অন্যদিকে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি রৌশন আরা বেগম, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলামসহ ৫৩ জন পিপিএম-সেবা পদক গ্রহণ করেছেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা মনে করি, কোনো দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী দেশ গড়তে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এতো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় কি-না, আমার জানা নেই। এছাড়া, তাদের রেশন ও চিকিৎসা সেবারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ খুন করে যারা মনে করেন, বেহেশতে যাবেন, তারা কোনোদিনই সেখানে যেতে পারবেন না। আর বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধীর জায়গা হবে না। এ দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এজন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা চাই বাবা-মা তাদের সন্তানদের খোঁজ রাখবেন, তারা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে নজর রাখবেন। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ রাখবেন। জনসংশ্লিষ্টতা থাকলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ অবশ্যই সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার ও সাইবার অপরাধ প্রতিহত করতে প্রযুক্তিগত দিক থেকে পুলিশ সদস্যদের আরও দক্ষ হতে হবে। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত ধাকবে। এটিকে আমরা ব্যয় মনে করি না, এটিকে মনে করি বিনিয়োগ।

এসএ/ এআর

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি