ঢাকা, শুক্রবার   ২০ জুন ২০২৫

‘জাতীয় ঐক্যের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল অপরিহার্য’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে জাতীয় ঐক্যের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অপরিহার্য ছিলো। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ত, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করত।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত ‘সেদিনের স্বপ্ন ও আজকের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ।

সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত হয়েছে। সে সময় তিনি দেশে ফিরে না এলে দেশ একটা অনিশ্চিত গন্তব্যে চলে যেত। তখন হয়তো আমাদের এ স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের মর্যাদার ইতিহাসটাই অন্যরকম হতো।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবুল মকসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে না ফেরা পর্যন্ত দেশের মানুষ উদ্বেগে ছিল। সে সময় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পন, ভারতীয় সেনাদের ফিরে যাওয়া ও বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় অনিশ্চিত হতো বঙ্গবন্ধু না এলে। সে সময়ের বাস্তবতা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা কঠিন হয়ে পড়ত।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে অনেক দেশ গড়িমসি করছিলো। কিন্তু দেখা গেলো তিনি ফেরার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ১০০’র ও বেশি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, আমরা তখনও দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরবের মতো রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন থেকে আশ্বাস দিয়ে আসলেও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা কখন স্বীকৃতি দিলো? যখন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। তখনও বাংলাদেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে জানিয়ে আগামী ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।

দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ফরাস উদ্দিন বলেন, আমাদের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বিশ্বের মধ্যে রোল মডেল। এখন আমরা ভারত ও চীন থেকে এগিয়ে আছি। এভাবে দেশ এগিয়ে গেলে আগামী ১৫-২০ বছর পর বিশ্ব অর্থনীতিতে ২৩তম স্থান দখল করবো। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বদের প্রত্যাবর্তনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রাম বলতে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন।যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কথা বলেন।এসব বিবেচনায় তার প্রত্যাবর্তন দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমদ, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীর শাহাবুদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মো: শাহজাহান মৃধা বেনু প্রমুখ।

 

আরকে// এআর

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি