ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

ট্রেন ছাড়ছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে

ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পিছু ছাড়ছে না দুর্ভোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ১৯ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না ট্রেন যাত্রীদের। বারবার শিডিউল বিপর‌্যয়ে এমনটি হচ্ছে। আজ কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে ৬৮ টি বিশেষ ট্রেন। এতো যাত্রী দুর্ভোগ লাঘব হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি ট্রেন ছাড়ছে দেড় থেকে দুই ঘন্টা দেরিতে। স্টেশনে অপেক্ষা বাড়ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের।

রেলওয়ে ‍সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ৬৮টি ট্রেন। নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বগিসহ এসব ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে এক লাখ যাত্রী বহন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু সকাল থেকেই ট্রেনের শিডিউলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেন দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ছে। নির্দিষ্ট শিডিউল থাকলেও এখনও অনেক ট্রেন স্টেশনে পৌঁছায়নি।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো হাজারও মানুষ। অন্যদিকে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের ধীরগতি আর দেরিতে স্টেশনে পৌঁছানোর কারণে দেরিতে কমলাপুর ছাড়ছে ট্রেন।

রোববার দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় ৭টার পর। খুলনা অভিমুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে।

দিনাজপুর চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ১০টা পর্যন্ত স্টেশনে দাঁড়ানো ছিলো। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টা পর্যন্ত স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। দিনাজপুর অভিমুখী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও এখনও স্টেশনে পৌঁছায়নি। তবে একতা এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য ছাড়ার সময় দেওয়া হয়েছে ১১টায়।

অন্যদিকে ঈদ স্পেশাল ট্রেন ৯টা ১৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটা ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১১টা ৪০ মিনিটে।

ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় স্টেশনে অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রীদের। তীব্র গরমে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবির নামে স্টেশনে অপেক্ষমাণ এক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মহাসড়কের যানজট ভোগান্তি কমাতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে এসে এখানেও দেখছি ভোগান্তির শেষ নেই। দুই ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু ট্রেন ছাড়ছে না। আবার শুনছি ধীরগতিতে চলছে ট্রেন। কখন বাড়ি গিয়ে পৌছাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ওনাইজা নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি। দেরিতে ট্রেন ছাড়া কারও কাম্য না। পরিবার নিয়ে এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা বড় বিরক্তিকর। ট্রেনের আরও আধুনিকায়ন জরুরি।

 

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ধূমকেতু, সুন্দরবন, নীলসাগর দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে আসায় যাত্রা কিছুটা দেরিতে হয়েছে। অন্য ট্রেনগুলোও দেরিতে রান করায় এখনও স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি যাতে কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হয়।

তিনি বলেন, ঈদের সময় যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ট্রেনে ধীরগতি থাকে। আবার সব স্টেশনে দুই/এক মিনিট বেশি সময় প্রয়োজন হয় যাত্রী নামানোর জন্য।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি