ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

আমাদের এখনও অনেক কাজ বাকি: শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩২, ৩০ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা এগিয়ে নিতে যাত্রা শুরু করা বিমসটেকের সামনে এখনও অনেক কাজ বাকী আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির পরও প্রতিষ্ঠার ২১ বছরে বিমসটেকের সাফল্য হাতে গোনা। তাই আমাদের সামনে বহু কাজ বাকি।

নেপালের কাঠমান্ডুতে বৃহস্পতিবার চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের এ যৌথ চেষ্টাকে অর্থবহ সম্পর্কের রূপ দিতে চাইলে, সহযোগিতার দৃশ্যমান ফলফল চাইলে আমাদের মৌলিক আইনি কাঠামোগুলোকে আরো সংহত করার কথা আমাদের ভাবতে হবে।

এ প্রেক্ষিতে বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিমসটেকের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো নতুন করে বিবেচনা করতে এবং জোটের কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের মাধ্যমে জোটভুক্ত সাত দেশকে যুক্ত করার উদ্যোগের মত আরো কয়েকটি ক্ষেত্র তিনি জোটের নেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন, যেখানে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবাই লাভবান হতে পারে।

আর এই লক্ষ্যে বিমসটেক ফোরামের মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং একটি যৌথ অর্থায়ন কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজার মেঘনা মালহার হলে বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমেই সম্মেলন কেন্দ্রে আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আসেন ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুক, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি অতিথিদের স্বাগত জানান।

মঞ্চে অতিথিদের বসার ব্যবস্থা ছিল দেশের নামের ক্রমানুসারে। বেলা ৪টার দিকে নেপালের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির উদ্বোধনী বক্তব্যের পর বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। এই পরিবর্তন আর বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে বিমসটেককেও তাল মেলাতে হবে; আর তা করতে হবে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ যে বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়, ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সেই অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

বিমসটেককে বিশ্বের সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল হিসেবে বর্ণনরা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে। সদস্য দেশগুলোর উচিত ‘এখনও কাজে না লাগানো’ এই সম্ভবনাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা।

শুক্রবার একটি যৌথ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এবারের সম্মেলন শেষ হবে। নেপালের কাছ থেকে বিমসটেক চেয়ারের দায়িত্ব পাবে শ্রীলঙ্কা।

আরকে//

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি