ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

তামাক দ্রব্য উৎপাদনকারীরা সচিব পর্যায়ের ব্যাক্তি: সাবের চৌধুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (সিপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশের তামাক দ্রব্য উৎপাদনকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক সচিব পর্যাযের কয়েকজন ব্যক্তি। তামাকের নিয়ন্ত্রণে যখনই কোনো কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখনই তারা আটকে দেয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে তাদেরকেই এ ব্যবসা থেকে সরে আসতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে জাপানের টোবাকো কোম্পানি। তারা ভারতে ঠাই না পাওয়ায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জায়গা হিসেবে বেঁছে নিয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৫ শতাংশে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও এসডিজির স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাপান টোবাকোর সে বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

 ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিকেল ৫. ৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০১৮’ শীর্ষক এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেকে বলে দেশে গাজা থাকলে ফেনসিডিল আসতো না। এটা সম্পূর্ণ খোড়া একটি যুক্তি। অথচ বাংলাদেশের তুলনায় পার্শবর্তী দেশ ভারতে নিম্নমানের তামাক পণ্যে ৮গুণ বেশি করহার আরোপ করা হয়েছে।

আর উচ্চমানের তামাকপণ্যে ৪গুণ করহার আরোপ করা হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে এর উপর করহার বাড়াতে হবে। তামাকের ব্যবহার কমলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হবে।

আরকে// এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি