ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫

অপপ্রচার বন্ধে অনলাইন নীতিমালা হবে: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা নিয়ে বালখিল্য আচরণ করা যাবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইনের প্রসার হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু অনলাইন মাঝে মাঝে আপত্তিকর ও নোংড়া নিউজ ও ছবি ছাপিয়ে দেয়। যার বিরুপ প্রভাব পড়ে কোমলমতি শিশুদের মধ্যে। এজন্য অপপ্রচার বন্ধে অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১১৩ জন অসুস্থ ও অস্বচ্ছল সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন শেখ হাসিনা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন- ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জন করার থেকে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।’ তিনি স্বাধীনতার ছয়মাসের মাথায় সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় আমিও কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমি জাতির পিতাকে অনুসরণ করেই দেশ পরিচালনা করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকতা পেশাকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কখনো বালকসুলভভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু এটাকে বালখিল্যভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় এবং সবারই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।

 

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘অন্তত গঠনমূলক দায়িত্বশীল ভূমিকাটা পালন করা, যেটা দেশের কল্যাণের কাজে লাগবে। এটা হচ্ছে বাস্তবতা, আমি আশা করি, নিশ্চয়ই সেটা আপনারা অনুভব করবেন। ২০০৮-এর নির্বাচনে দিন বদলের যে অঙ্গীকার করেছিলাম, আমি মনে করি নিশ্চয়ই আপনারা এটা স্বীকার করবেন আজকে মানুষের দিন বদল হয়েছে।’

নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকালে এক কাপ চা ও একটি পত্রিকা যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ! টেলিভিশন বন্ধ রেখে সকালে পত্রিকা নিয়ে বসি। সব পত্রিকা যে পক্ষে লেখে তা নয়। প্রয়োজনীয় সংবাদগুলো মার্ক করি। সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলি। সংবাদপত্র থেকে অনেক তথ্য পাই। দুর্গম জায়গার অনেক তথ্যও সংবাদপত্রে আসে। তাতে আমরা সহযোগিতা পাই। এজন্য সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী এমপি প্রমুখ।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি