ভোটের অভিজ্ঞতা
এসএমএস করে ক্রমিক নম্বর পেয়েছি
প্রকাশিত : ১৪:০১, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

আমার ভোটকেন্দ্র ছিল গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে। ঢুকেই বাম দিকে ছিল নারীদের বুথ, ডানদিকে ছিল পুরুষ বুথ। সকালের দিকে গিয়েও দেখেছি ভোটারের দীর্ঘ সারি। কিন্তু কোথাও কোনো হট্টগোল, বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণের নিয়মের ব্যত্যয়ও চোখে পড়েনি। দেখলাম, সবাই হাসিমুখে ভোট দিচ্ছেন।
অন্যান্যবার প্রার্থীদের কর্মীরা বাসায় এসে ভোটার ক্রমিক নম্বরের স্লিপ দিয়ে যেত। একাধিক প্রার্থীর পক্ষ থেকেও দিয়ে যাওয়া হয়। এবার কোনো কারণে কারও পক্ষে সেই স্লিপ পাইনি। অন্যান্যবার ভোটকেন্দ্রের বাইরে সাধারণত প্রার্থীদের পক্ষে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে থাকে ভোটার ক্রমিক নম্বর দেওয়ার জন্য। এবার গিয়ে দেখলাম, শুধু একজন প্রার্থীর পক্ষেই এমন আয়োজন রয়েছে। অন্য কারও পক্ষের আয়োজন চোখে পড়ল না।
অবশ্য ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে প্রচারিত নম্বরে এসএমএস করেছিলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেয়ে গেছি। এই ব্যবস্থাটাই আমার কাছে সবচেয়ে সুবিধাজনক মনে হয়েছে। এটা পরিবেশবান্ধবও। কাগজের অপচয় হয় না, নম্বর হারিয়ে ফেলার ভয় থাকে না।
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোন কোন দলের এজেন্ট ছিল জেনে নেওয়া হয়নি। দেখলাম, এজেন্টদের আসনে তিন-চারজন বসে রয়েছেন। তাদের একজন উঠে এসে আমাকে ভোট প্রদানে সাহায্যও করলেন। নির্বিঘ্নেই ভোট দেওয়া সম্পন্ন করে ফিরেছি।
গাড়ি চলাচল যেহেতু বন্ধ, রিকশা করেই চলে গিয়েছিলাম। ফিরেছিও রিকশা করে। এই সুযোগে অনেক দিন পর রিকশা ভ্রমণ ভালো লাগল। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে নির্বাচন ঘিরে ছিমছাম পরিবেশ। উৎসবের মধ্যে যে হট্টগোল ব্যাপারটা থাকে, সেটা অনুপস্থিত ছিল। সবাই বরং আড্ডার আমেজে গল্প করছে, পরস্পরের খোঁজখবর নিচ্ছে। নির্বাচনটাকে মনে হয়েছে সামাজিক মেলামেশার উপলক্ষ।
লেখক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংক
এসএ/
আরও পড়ুন