ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫

ভোটের অভিজ্ঞতা

ইভিএম ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল

আবুল মোমেন :

প্রকাশিত : ১৪:২২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই ভোট দিতে বের হয়ে পড়লাম হেঁটে। আগেই ইচ্ছা ছিল আগামীকাল সকালে ভোট দিতে যাব। অতএব সকালে উঠে প্রস্তুতি নিলাম। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়ার শব্দ নেই, ফাঁকা। মাঝেমধ্যে শুধু রিকশার টুংটাং আওয়াজ। দোকানপাট বন্ধ। অনেককে দেখলাম দল ধরে যাচ্ছে, রাস্তার মধ্য দিয়ে হাঁটছে।
অনেককে দেখলাম, পুরো পরিবার নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। ছোট বাচ্চাদেরও বাদ দেখলাম না। রেখে আসতে না পারায় মায়েরা বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছেন বোধ হয়। অনেকেই ভোট দিতে এসেছেন। কয়েকজন প্রবীণকে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের ধরে নিয়ে আসতে দেখলাম।
যথারীতি ভোটকেন্দ্র চট্টগ্রাম-৯-এর কাজীর দেউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাম। এ আসনে নৌকা থেকে দাঁড়িয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী, ধানের শীষে ডা. শাহাদত হোসেন। তিনি অবশ্য কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-৯ আসনটি হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। ৩০০ আসনের মধ্যে ৬টি আসনে এ ধরনের ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা ছিল। ব্যবস্থাপনাটা ভালো ছিল। ভোটার নম্বর অনুসারে কে কোন বুথে ভোট দেবেন, তা উল্লেখ করা তালিকা বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটা ছিল। অতএব, বুথ খুঁজে পেতে তেমন অসুবিধা হলো না।
চতুর্থতলায় আমার বুথ ছিল। পোলিং এজেন্টদের যাচাইয়ের পরে প্রিসাইডিং অফিসার আমাকে ব্যালটে সুইচ টিপে ভোট দিতে বলেন। এভাবে আমি ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। এ সময় পর্যন্ত ৩০০ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রের বাইরে, বিভিন্ন তলায়ও তরুণদের জটলা দেখেছি। বোঝা যাচ্ছিল, এরা সরকারি দলের সমর্থক। বিশেষ ব্যাপার হলো, বিরোধীপক্ষে কর্মী, পোস্টার কিছুই দেখতে পাইনি। দুপুর ১টার দিকে রিকশায় চলে এসেছি।
লেখক ও সাংবাদিক
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি