চার ধাপে ৪৬৫ উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২ এপ্রিল ২০১৯

দেশের ৪৯২টির মধ্যে চার দফায় ৪৬৫ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলগতভাবে ৩০৪টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছাড়াও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও জয়ী হয়েছেন।
চার দফায় ৬৪ জেলার ৪৬৫ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ৩০৪ জন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের ১১৬ জন চেয়ারম্যান পদে জয় পান। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ৬জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রথম দফায় ১২ জেলার ৮৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকটি স্থগিত ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয় ৭৮ উপজেলায়। এরমধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের ৪৩, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২০ এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ৩টি উপজেলায় বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের ১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় দফায় ১৬ জেলার ১২৩ উপজেলায় ভোটে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের ৫৫, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২৯ ও স্বতন্ত্র হিসেবে একটি উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের ২৩ জন চেয়ারম্যান।
তৃতীয় দফায় ২৫ জেলার ১২৭ উপজেলার মধ্যে স্থগিত হয় ৫টি। এই দফায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের ৫১ ও ৩৬ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি থেকেও নির্বাচিত হন একজন। এই দফায় আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ৩৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
চতুর্থ দফায় ২২ জেলার ১২২ উপজেলার ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে ৪৬ ও স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগেরই ৩১ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এই দফায় আওয়ামী লীগের ৩৯ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন।
চার দফায় বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির ৩৮ নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন