‘এখনই দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব না’
প্রকাশিত : ১১:০৮, ৯ এপ্রিল ২০১৯
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘ফেনীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার শিকার সেই মাদ্রাসাছাত্রীকে এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব না।’
আজ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মেয়েটির শারীরিক যে অবস্থা তাতে পাঁচ ঘণ্টা ফ্লাই করা খুবই রিস্কি বলে মনে করছেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মেয়েটির যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো স্থিতিশীল হলে তখন তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া যাবে। আমরা এই বিষয়টি তার পরিবারকেও জানিয়েছি, তারাও একমত পোষণ করেছে।’
ডা. সেন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ’র কনসালটেন্ট আমাদের সব কাগজপত্র চেক করেছেন। তারা আমাদের বলেছেন— ‘তোমরা এখন পাঠিও না।’ তারা আমাদের চিকিৎসার সঙ্গে একমত। এছাড়া, তারা আরও কিছু সাজেশন দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটু পরেই মেয়েটিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাবো। মোট কথা আমরা প্রতিনিয়ত সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে থাকবো। বিকালেও তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হবে।’
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রী সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের মাওলানা একেএম মানিকের মেয়ে। অভিযোগ আছে, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা এর আগে ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে। এ কারণে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন।
এসএ/
আরও পড়ুন